দিঘায় জগন্নাথদেবের আরতি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
মাসির বাড়িতে জগন্নাথদেবের আরতি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই সেখান থেকে হোটেলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
দিঘার রথ মাসির বাড়ি পৌঁছোল। বলভদ্র, সুভদ্রা ও সুদর্শনকে রথ থেকে নামিয়ে মাসির বাড়িতে আনা হল। এর পরে কীর্তন সহযোগে আনা হবে জগন্নাথকে।
নির্ধারিত সময় মেনে দুপুর আড়াইটেয় দিঘার রথের রশিতে টান পড়েছিল। এক ঘণ্টায় অর্ধেক পথ পাড়ি দিল ওই রথ। এই রথ দেখতে উপচে পড়া ভিড় রাস্তার দু’পাশে।
রথের সঙ্গে সঙ্গেই হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন ইসকনের সন্ন্যাসীরা।
নির্ধারিত সময় মেনেই দুপুর আড়াইটেয় রথের রশিতে টান পড়ল দিঘায়। মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, রথযাত্রার সময় রাস্তায় লোক থাকবে না। পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা এড়াতে রাস্তার দু’ধারে ব্যারিকেড করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ব্যারিকেডের ও পার থেকে রথ দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। সেই মতোই এগোচ্ছে রথ। রাস্তার দু’ধারে ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ।
সোনার ঝাড়ু উপহার দিয়েছিলেন আগেই। সেই সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা ঝাঁট নিয়ে দিঘায় রথযাত্রার সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে তিনটি রথের সামনেই আরতি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গড়াবে দিঘার রথের চাকা। তার আগে শেষ মুহূর্তের সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের দরজা। মন্দিরের ২ নম্বর গেট থেকে সাধারণ মানুষ অবাধে প্রবেশ করতে পারছেন। মন্দিরের ভিতরে গিয়ে তাঁরা জগন্নাথের পাথরের মূর্তি দর্শন করতে পারছেন। সেই সঙ্গে মন্দিরের ভিতরে সাধারণের জন্য প্রসাদ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ইসকনের সদস্য রাধারমন দাসের নেতৃত্বে রথে চড়ে বসলেন বলভদ্র, জগন্নাথ এবং সুভদ্রা। করা হয় আরতি। বাজানো হয় শঙ্খও। রাধারমন জানান, সকালের এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় ‘পাহান্ডি বিজয়’। যার অর্থ পায়ে হেঁটে রথে চড়বেন জগন্নাথ।
রথে চড়ানো হল জগন্নাথকে। —নিজস্ব চিত্র।
বৃষ্টির মধ্যেই দিঘায় জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার রথে রশি বাঁধা হল। পাট এবং নারকেল ছোবড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছেএই রশি।
—নিজস্ব চিত্র।
খোল-করতাল বাজিয়ে জগন্নাথের কাঠের মূর্তি রথে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হল।
—নিজস্ব চিত্র।
আঁটসাঁট নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির চত্বর। মন্দির থেকে বেরিয়ে জগন্নাথের রথে চড়ার ঘোষিত সময় ছিল সকাল ৯টা। বিগ্রহগুলিকে রথে তোলার জন্য শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে এখন।
মন্দির চত্বরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। শুক্রবার সকালে দিঘায়। —নিজস্ব চিত্র।
মেঘলা আকাশ। হচ্ছে ঝিরঝিরে বৃষ্টিও। তবে সব কিছুকে উপেক্ষা করেই ক্রমশ ভিড় বাড়ছে মানুষের। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসছেন মন্দিরচত্বরে।
দুপুর ২টোয় রথে আরতি এবং পুজো শুরু হবে। আড়াইটে নাগাদ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। পৌনে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রথ পৌঁছোবে মাসির বাড়ি। বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জগন্নাথ মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে সুসজ্জিত রথ। —নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দিঘায় রথযাত্রার সময় রাস্তায় লোক থাকবে না। পদপিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা এড়াতে রাস্তার দু’ধারে ব্যারিকেড করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ব্যারিকেডের ও পার থেকে রথ দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তা ছাড়া ব্যারিকেডের সঙ্গে রথের দড়িও লাগানো থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফলে দু’ধারের ব্যারিকেডের ও পারে থাকা মানুষ রথের দড়িও ছুঁতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও জানান যে, সাধারণ মানুষের জন্য রথ যেতে কিছুটা সময় থামবে। মানুষ দেখতে পাবেন।
কিছু সময় পরেই রথে তোলা হবে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার কাঠের মূর্তি।
দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের এক নম্বর গেটের বাইরে রাখা হয়েছে সুসজ্জিত তিনটি রথ।
শুক্রবার রথযাত্রা। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর এই প্রথম রথ বেরোতে চলেছে সেখান থেকে। পুরীর আদলেই জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার জন্য তিনটি আলাদা রথ থাকছে। বৃহস্পতিবার রাতেই রথগুলিকে মন্দিরের সামনে নিয়ে আসা হয়। সকাল থেকেই রথের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্দিরে শুরু হয়ে পূজার্চনাও।