corona virus

লকডাউনে সময় কাটাতে বাড়ি বাড়ি লুডো বিলি

নানা বিনোদনের ভিড়ে লুডো খেলার চল নেই বললেই চলে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে লুডো সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। সেই কথা ভেবেই এই উদ্যোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০ ১৫:০১
Share:

গৃহবন্দি মানুষের কাছে লুডো সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম হতে পারে—ফাইল চিত্র

একসময় সময় গ্রামাঞ্চল তো বটেই শহরেও সময় কাটানোর তেমন কোন উপকরণ ছিল। উপকরণ বলতে ছিল তাস এবং লুডো। আট থেকে আশিকে ওই দুটি খেলায় মেতে উঠতে দেখা যেত। লুডো খেলা দু'ধরণের। সাপ এবং ঘর লুডো। সাপ লুডো নুন্যতম এক জন থেকে বহুজন খেলা যায়। ঘর লুডো একক ভাবে ২/৪ জন অথবা ২ জন করে জোড়ায় জোড়ায় খেলা চলে। লুডো ঘিরে গোল হয়ে বসে ছক্কা অথবা পুট বলে চিৎকার করতে শোনা যেত খেলোয়ারদের। নানা বিনোদনের ভিড়ে সেই চিৎকারটাই ক্ষীণ হয়ে এসেছে।

Advertisement

ফের লুডো ফেরাতে উদ্যোগী হল সাঁইথিয়ার জয়তু সুভাষ গোষ্ঠী ক্লাব। লকডাউন পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি মানুষজনের সময় কাটানোর জন্য বাড়ি বাড়ি লুডো বিলি করেছে তারা। সম্প্রতি সাঁইথিয়া পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ১০০ টি পরিবারে লুডো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন , আরও ২০০ টি পরিবারে লুডো পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ক্লাবের সম্পাদক দেবাশিস সাহা জানান, এক সময় সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম ছিল লুড়ো। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই লুডো দেখা যেত। কিন্তু নানা বিনোদনের ভিড়ে লুডো খেলার চল নেই বললেই চলে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে লুডো সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। সেই কথা ভেবেই এই উদ্যোগ।

Advertisement

আরও পড়ুন: মেয়াদ বাড়লে কষ্ট করে চালান, বললেন মমতা

কয়েক দিন আগে কলকাতায় রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও তাঁর বিধানসভা এলাকা শ্যামপুকুরে মানুষের মধ্যে খাবারের পাশাপাশি লুডো বিলি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘দীর্ঘ দিনের জন্য ঘরে থাকাটা মানুষের পক্ষে খুবই কঠিন। লুডো তাঁদের ঘরে থাকতে সাহায্য করবে।’’

আরও পড়ুন: স্পর্শ বাঁচিয়ে চলছেন দৃষ্টিহীনেরাও

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন,feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন