West Bengal News

লকডাউনে কী কী খোলা, কী কী বন্ধ? দেখে নিন এক নজরে

রুটের বাস-অটো শুধু নয়, সোমবার বিকেল থেকে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত ট্যাক্সি পরিষেবাও বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২০ ১৮:০৮
Share:

কলকাতার বাজারে কেনাকাটার ভিড়। ছবি: পিটিআই

সাড়ে চার দিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। প্রায় সব পুরসভা এবং পুর এলাকা নয় এমন একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ ‘টাউন’-এও লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার অর্থাৎ ২৩ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে শুক্রবার অর্থাৎ ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং জরুরি পরিষেবার বাইরে থাকা যাবতীয় কার্যকলাপ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সাড়ে চার দিন রাজ্যে সব রকমের গণপরিবহণও বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে নবান্ন।

Advertisement

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি রবিবার বিকেলে জারি করা হল, তাতে ‘লকডাউন’ শব্দটি অবশ্য ব্যবহার করা হয়নি। ‘কমপ্লিট সেফটি রেস্ট্রিকশন’ বা ‘পূর্ণ নিরাপত্তা বিধিনিষেধ’— সাড়ে চার দিনের জন্য এই বন্দোবস্তই জারি থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

লকডাউন বা ‘কমপ্লিট সেফটি রেস্ট্রিকশন’ সফল করতে একগুচ্ছ বিধিনেষেধের কথা এ দিন ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বাস, অটো, ট্যাক্সি-সহ প্রায় গোটা গণপরিবহণ ব্যবস্থাকেই সোমবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত স্তব্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। থানা, সংশোধানাগার, আদালত চালু থাকলেও অন্য অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে এই সাড়ে চার দিন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, দোকান-বাজারও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু খাবার, দুধ, সবজি, ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্রের দোকান আর হাসপাতাল ও চিকিৎসা পরিকাঠামো খোলা থাকবে। টেলিকম, ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, পানীয় জল সরবরাহ, জঞ্জাল অপসারণ পরিষেবাও ছাড় পাচ্ছে। ছাড় পাচ্ছে সংবাদমাধ্যমও।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাল বিকেল ৪টে থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রায় সব শহর লকডাউন

আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ দেশের ৭৫ জেলায় ‘লকডাউন’, প্রস্তাব কেন্দ্রের

যে সব এলাকার জন্য লকডাউন ঘোষিত হল, সেই সব এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বেরতে বারণ করা হয়েছে। খুব জরুরি কাজে বেরলেও এক জায়গায় ৭ জনের বেশি লোককে জমায়েত হতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রতিষ্ঠান বা পরিষেবা অত্যাবশ্যকীয় কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হলে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক বা পুর কমিশনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়েছে। বিধিনিষেধের রূপায়ণ সুনিশ্চিত করার জন্য যখন যে রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন, তা নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুর কমিশনার, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলাশাসক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মহকুমাশাসক, বিডিও এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের। এই আধিকারিকদের সব রকম সাহায্য করতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে যে সব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা যদি কেউ ভাঙেন, তা হলে প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন