প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলের পর দিন, মঙ্গলবার তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে তেতেছিল আপাত শান্ত পাড়ুই। ঘটনায় রাতেই পাঁচ বিজেপি ও দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতারও করে পাড়ুই পুলিশ। বুধবার সিউড়ি মুখ্য দায়রা বিচারকের আদালতে হাজির করানো হলে আজ, বৃহস্পতিবার ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন বিচারক সৌম্য চট্টোপাধ্যায়। তদন্তকারী অফিসারকেও হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে সাঁইথিয়ার অমরপুর অঞ্চলে সাইকেল মিছিল করে বিজেপি। মিছিল অমরপুর হয়ে পাহাড়পুরে পৌঁছতেই তৃণমূলের অফিস থেকে দুষ্কৃতীরা মিছিলে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। লাঠি দিয়ে মারধরের পাশাপাশি বিজেপির মিছিল লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগও ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির বিরুদ্ধেও তৃণমূলের পার্টি অফিসে পাল্টা ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে গ্রাম যায় পুলিশ। রাতেই দুই পক্ষের সাত জনকে গ্রেফতার করে।
ধৃত মানব ডোম ও শেখ সবুর এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। বংশীধর দেবাংশী, গোবিন্দ ঘোষ, বদি মুর্মু, রামচন্দ্র মাহালি ও রঞ্জিত সোরেন বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। তাঁরা সকলেই অমরপুর অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও বেআইনি সমাবেশ করার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮ ও ১৪৯ ধারায় মামলা রুজু করে আদালতে হাজির করানো হয়। হত্যার চেষ্টা এবং মারধরের ধারা ছাড়াও বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী বলেন, “দু’পক্ষই জামিনের আবেদন করেছিল। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারকেও সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এ দিকে, গ্রেফতার করায় পক্ষপাত হয়েছে বলে বিজেপির দাবি। দলের সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সম্পাদক শেখ সামাদ বলেন, “পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। তৃণমূলই মিছিলের উপরে আক্রমণ করল।
আর পুলিশ আমাদেরই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল। সাজিয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলাও রুজু করা হল।’’ মিছিলের জন্য কমিশনের অনুমতি থাকলেও বেআইনি সমাবেশের মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে বলেও বিজেপির দাবি। সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি প্রশান্ত সাধু বলেন, “বিজেপি পরিকল্পনা মাফিক আক্রমণ চালিয়েছিল। এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। মানুষই এর জবাব দেবে।”