প্রচারে কড়া ভারতী, দোরে সিআইডি

সোমবার সকালের ভারতীর প্রচার ছিল কেশপুরে। সাড়ে দশটা নাগাদ দাসপুর থেকে বেরিয়ে যান বিজেপি প্রার্থী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল ও কেশপুর শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০০:১৬
Share:

আনন্দপুর থানার সামনে বিক্ষোভে ভারতী। —নিজস্ব চিত্র।

চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে ফিরল সেই এক দৃশ্য। ভারতী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ফের দাসপুরের কলমীজোড়ের বাড়িতে এল সিআইডি। আর ততক্ষণে প্রচারে বেরিয়ে গিয়েছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী।

Advertisement

সোমবার সকালের ভারতীর প্রচার ছিল কেশপুরে। সাড়ে দশটা নাগাদ দাসপুর থেকে বেরিয়ে যান বিজেপি প্রার্থী। তার কিছুক্ষণ পরেই কলমীজোড়ের বাড়িতে হাজির হয় সিআইডির দল। সিআইডি সূত্রের খবর, দাসপুরের সোনা প্রতারণা মামলা নয়, এ দিন হুমকি দিয়ে গরু ব্যবসায়ীর থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে খড়্গপুর থানার এক মামলায় ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল। গত শনিবারের মতোই সিআইডির আইপিএস পদমর্যাদার দুই অফিসার-সহ ২০ জনের দলটি এসেছিল ভারতীর খোঁজে। ভারতীকে না পেয়ে বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নেয়। তারপর স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে এসে অপেক্ষা করেন সিআইডি-র আধিকারিক কর্মীরা। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেননি তাঁরা। আর দাসপুর ছাড়ার আগে ফের থানায় জেনারেল ডায়েরি করে সিআইডির দলটি। শনিবারও একই কারণে দাসপুর থানায় জিডি হয়েছিল।

মামলা-মোকদ্দমা, সিআইডি-র হানা এ সবের মধ্যেও ভারতীকে অবশ্য চেনা মেজাজেই পাওয়া যাচ্ছে। সোমবার কেশপুরের আনন্দপুরে প্রচারে এসে ভারতী দেখেন, এলাকার দোকানপাট সব বন্ধ। মেজাজ সপ্তমে চড়ে প্রাক্তন পুলিশ সুপারের। সামনে থাকা পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘চলো, এখানে ডিউটি করতে হবে না কাউকে। কোনও পুলিশ আমি এখানে দেখতে চাই না।’’ ‘‘চলো, বেরিয়ে যাও’’- পুলিশকর্মীদের এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছে ভারতীকে। পুলিশকর্মীরা অবশ্য ‘ডিউটি’ করে গিয়েছেন। আনন্দপুর থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে বিজেপি। ভারতীও সেখানে ছিলেন। ক’দিন আগে এই কেশপুরেই প্রচারে এসে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ভারতী।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশও। পুলিশের এক সূত্রে খবর, ঘটনার মুহূর্তের ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ডিউটিতে বাধা দেওয়া অন্যায়। আইনানুগ ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।’’ ভারতীর অবশ্য অভিযোগ, ‘‘পুলিশ-তৃণমূল যোগসাজশ করে স্থানীয়দের ভয় দেখিয়েছে, দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছে।’’ বিজেপির জেলা নেতা ধীমান কোলের কথায়, ‘‘দোকানপাট বন্ধ থাকায় কর্মীরা জল পর্যন্ত পাননি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির অবশ্য দাবি, ‘‘দোকানদারেরা দোকান বন্ধ করে দিলে কী করব?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন