সব বুথ স্পর্শকাতর হয় না, মত বিবেকের

রাজ্যের বিরোধী দলগুলি দাবি জানালেও সব বুথে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সম্ভব নয়, সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়েছে কমিশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৩০
Share:

সিইও দফতরে ঢুকছেন বিবেক দুবে। আছেন অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু। ছবি: রণজিৎ নন্দী

ভোটের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গকে ‘সমস্যাজনক’ রাজ্য বলেই মনে করে নির্বাচন কমিশন, আর সেই কারণেই এ রাজ্যে ভোট হচ্ছে সাত দফায়। সোমবার এমনটাই জানালেন কমিশন নিযুক্ত রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ যদি ‘সমস্যাজনক’ই হবে, তা হলে রাজ্যের সব বুথকে কেন স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করল না কমিশন? জাতীয় স্তরে বিজেপি এবং রাজ্য স্তরে কংগ্রেসের তো তেমনই দাবি ছিল। বিবেকের মতে, সব বুথ কখনও স্পর্শকাতর হয় না। সাধারণ, স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর—এ ভাবেই বুথের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। এই শ্রেণিবিন্যাসের নিজস্ব মাপকাঠি রয়েছে। অতীতের নির্বাচনের মতো এ বারও জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন সাধারণ ও পুলিশ পর্যবেক্ষকেরা।

এ রাজ্যের বিরোধী দলগুলি দাবি জানালেও সব বুথে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সম্ভব নয়, সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়েছে কমিশন। বিবেকও এ দিন প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেননি। তিনি জানান, ভোটের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ এবং হোমগার্ড— সবই ব্যবহার করা হয়। তবে যে ধরনের বাহিনীই থাকুক বুথের নিরাপত্তা পূর্ণমাত্রায় নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ধর্মতলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নামঞ্চে যে সব পুলিশ আধিকারিককে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের ভোটের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে আপত্তি করেছে বিরোধীরা। শুধু তা-ই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে কমিশনের কাছে। যেমন, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপি, এসপিডিও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সিপিএম। এ প্রসঙ্গে বিবেক জানান, শুধু অভিযোগ করলেই হবে না। তা ভিত্তি কী তা স্পষ্ট করে দেখাতে হবে। তাঁর মতে, রাজ্য পুলিশের মধ্যে অনেক ভাল ও নিরপেক্ষ অফিসারও রয়েছেন। ফলে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সময় হাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকা উচিত।

এ দিন বিকেল স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন বিবেক। তার পর সন্ধ্যায় বৈঠক করেন প্রথম তিন দফায় নির্বাচন হতে চলা আট জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে। ডিএম-এসপিরা সকলেই ভাল কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বৈঠক

সম্পর্কে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশের মতে, ভোটে মোট কত কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে, তা রাজ্যের উপরেই ছাড়তে চাইছে কমিশন। ওই অংশের মতে, স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মহলের মত বিভিন্ন। ফলে রাজ্য কত মনে করছে, তা বুঝতে চেয়েছেন বিবেক।

আজ, মঙ্গলবার নবান্নে গিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করার কথা বিবেকের। তার পরে বিকেলে শিলিগুড়ি চলে যাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement