—ফাইল চিত্র।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের প্রচার গত কালই শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ দিল্লিতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের একহাত নিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
লোকসভা ভোটের প্রচারের শেষ দিনে আজ সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী কোনও প্রশ্ন নেননি। সব প্রশ্নের জবাব দেন অমিতই। বাংলার হিংসা নিয়ে মমতা ও তাঁর দলের নেতারা বিজেপিকেই দায়ী করছেন। অমিত বলেন, ‘‘গত দেড় বছরে আমাদের দলের ৮০ জন কর্মী মারা গিয়েছেন। তার কী জবাব আছে মমতাদিদির কাছে?’’
অমিত বলেন, ‘‘আমরা সব রাজ্যে লড়ছি। কিন্তু কোথাও কোনও হিংসা হয়নি। মমতাদিদি শুধু পশ্চিমবঙ্গে লড়ছেন। শুধু সেখানেই কেন হিংসা হচ্ছে? আমাদের কারণে হিংসা হলে তো সব রাজ্যেই হত।’’ সংবাদমাধ্যমকেও তোপ দাগতে ছাড়েননি তিনি। অমিতের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মোদী-শাহ মিথ্যাবাদীর জুটি। এই দু’জন ভূরি ভূরি মিথ্যা কথা বলছেন। দাঙ্গার রক্তে হাত রাঙানো এই দু’জন এখানে দাঙ্গাবাজি করতে এসেছিলেন। গোলমাল পাকাতে এসেছিলেন। কেন পশ্চিমবঙ্গের উপর এত আক্রমণ করছেন ওঁরা?’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিরোধীদের হিসেবে বিজেপির আসন এ বার দুশো পেরোবে না। কিন্তু অমিত আজ ফের দাবি করেন, বিজেপি একার জোরেই তিনশো পার করবে। খোদ মোদীরও দাবি, ফের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বেন তিনি। পার্থবাবু বলেন, ‘‘পরাজয়ের হতাশা থেকে এই সব বলছেন মোদী। উনি যে প্রধানমন্ত্রী হবেন না, তা অনেক দিন আগেই প্রমাণিত। যত দিন যাচ্ছে, মোদীর মিথ্যাচার তত বাড়ছে।’’
রাজ্যভিত্তিক হিসেব ধরে এ দিন অমিত জানান, এত আসন পাওয়ার পিছনে পশ্চিমবঙ্গের ফল অনেকটা সহায়ক হবে। আগে তিনি বঙ্গে ২৩টি আসন পাওয়ার দাবি করেছিলেন।