অস্ত্র নিয়ে হামলা, অভিযুক্ত অনুপম

অভিযোগকারী পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, বিজেপি প্রার্থী আরও দু’জন তৃণমূল নেতাকে ঘুষি মেরেছেন। রড হাতে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গীরা তাঁদের হুমকি দিয়েছেন। পুলিশ এই ঘটনায় অনুপম-সহ তিন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মারধর-সহ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৯ ০৪:০৬
Share:

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে ভোটের দিনে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ আনল তৃণমূল কংগ্রেস। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ অনুপমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে।

Advertisement

পুলিশি সূত্রের খবর, পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার পূর্বালোকের বাসিন্দা, তৃণমূল নেতা পিনাকী দেব পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, গত রবিবার, লোকসভা ভোটের দিন বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা মুকুন্দপুরে হেলেন কেলার মূক ও বধির বিদ্যালয়ে রবিশঙ্কর চক্রবর্তী নামে এক তৃণমূল নেতাকে রিভলভারের বাট দিয়ে মারধর করেন। অভিযোগকারী পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, বিজেপি প্রার্থী আরও দু’জন তৃণমূল নেতাকে ঘুষি মেরেছেন। রড হাতে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গীরা তাঁদের হুমকি দিয়েছেন। পুলিশ এই ঘটনায় অনুপম-সহ তিন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মারধর-সহ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে।

নির্বাচনের দিন সকাল থেকে বিজেপি প্রার্থী যাদবপুর কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের পরপর কয়েকটি বুথে তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান। হেলেন কেলার মূক ও বধির বিদ্যালয় ছাড়াও শহীদ স্মৃতি কলোনী এবং সম্মিলনী টিচার্স ট্রেনিং কলেজে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বচসা বেধে যায়। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার অভিযোগ এনেছেন। নির্বাচনের দিন সম্মিলনী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বেরিয়ে আসার পথে অনুপমের সঙ্গে থাকা একটি গাড়ির কাচ ভাঙে। তাঁর এক সঙ্গীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।

Advertisement

তৃণমূলকর্মীদের উপরে আক্রমণের কথা অস্বীকার করেছেন ওই বিজেপি প্রার্থী। পূর্ব যাদপপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ার প্রসঙ্গে অনুপম সোমবার বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তৃণমূলের লোকজন আমার গাড়ি ভাঙচুর এবং আমার কর্মীদের মারধর করেছিল। উল্টে আমার বিরুদ্ধেই অভিযোগ করা হল! এই ঘটনার
কথা সাংবাদিকদের মুখেই প্রথম শুনলাম।’’ পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন