Lok Sabha Election 2019

কমিশনে অভিযোগ অর্জুনের 

অর্জুনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দীনেশ এবং পুলিশ কমিশনার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৯ ০০:২১
Share:

—ফাইল চিত্র।

পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী। শুক্রবার বিকেলে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ তুলেছেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ।

Advertisement

অর্জুনের অভিযোগ, তৃণমূলের দাবি মেনে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে তেমন নির্দেশও দিয়েছেন। তবে অর্জুনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দীনেশ এবং পুলিশ কমিশনার। দীনেশ জানিয়েছেন, তিনি কিছু দুষ্কৃতীর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এবং সেটা লিখিতভাবেই।

এ দিন অর্জুন অভিযোগ করেন, ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস, টিটাগড়ের পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরী-সহ দলের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে দীনেশ পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই বৈঠকে দীনেশ ত্রিবেদী পুলিশ কমিশনারকে বলেন, অর্জুন সিংহের পরিবারের সদস্য এবং তাঁর কাছের লোকেদের গ্রেফতার করতে হবে। যাতে তাঁরা ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে এলাকায় থাকতে না পারেন।’’ অর্জুনের দাবি, সেই কথার ‘অডিয়ো ফাইল’ তাঁর কাছে এসেছে। সেই ‘ফাইল’ দিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অর্জুন প্রশ্ন তুলেছেন, কোন যুক্তিতে দীনেশ পুলিশ কমিশনারকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভাটপাড়ায় ওদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই ওরা ভয় পেয়ে এখন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চাইছে।’’

দীনেশ বলেন, ‘‘এতে লুকোছাপার কিছুই নেই। ওঁর কাছে কী রয়েছে জানি না! তা নিয়ে উনি যা খুশি করতে পারেন। আমাদের কিছু যায় আসে না।’’ দীনেশের দাবি, তাঁরা আগে থেকে সময় নিয়েই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা বেশ কিছু দুষ্কৃতীর নাম দিয়ে তাঁদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীদের কোপানো হচ্ছে। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাব না? তবে আমরা কোনও প্রার্থী বা তাঁর বাড়ির লোকেদের গ্রেফতাররের দাবি জানাইনি। আসলে ভয় পেয়ে ওনার (অর্জুনের) মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই উনি ভুল বকছেন।’’

অর্জুনের অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘বাক স্বাধীনতা রয়েছে। ফলে যে কেউ যা খুশি বলতে পারেন। সেই বিষয়ে আমার কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে সবাই জানেন, তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল আমার কাছে এসে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন