প্রচারে যুযুধান বাবুল-মুনমুন

এ দিন জামুড়িয়ার বোগড়া গ্রামে কর্মিসভায় যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে রানিগঞ্জ, কুলটি, জামুড়িয়া ও আসানসোলে জল-সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আমরুত’ প্রকল্প থেকে টাকা বরাদ্দ হলেও সেই টাকায় রাজ্য সরকার প্রকল্প রূপায়ণ করেনি বলে অভিযোগ করেন বাবুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

প্রচারে মুনমুন সেন। —নিজস্ব চিত্র।

এক পক্ষ ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করল। অন্য পক্ষ দাবি করল, ‘দিদি’র (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাজের জোরেই ভোট পাওয়া উচিত। এ ভাবেই সোমবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার জমে উঠল।

Advertisement

এ দিন জামুড়িয়ার বোগড়া গ্রামে কর্মিসভায় যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে রানিগঞ্জ, কুলটি, জামুড়িয়া ও আসানসোলে জল-সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আমরুত’ প্রকল্প থেকে টাকা বরাদ্দ হলেও সেই টাকায় রাজ্য সরকার প্রকল্প রূপায়ণ করেনি বলে অভিযোগ করেন বাবুল। এলাকায় বিভিন্ন চুরিতেও মদত দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল, এমনও অভিযোগ করেন তিনি। কর্মীদের লক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তাই নিশ্চিন্তে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করুন।’’ সেই সঙ্গে বাবুল গত পাঁচ বছরে তাঁর ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কাজের তালিকা-সহ পুস্তিকা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি বিলি করারও পরামর্শ দেন। যদিও বাবুলের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি প্রার্থী গত পাঁচ বছরের মতো এখনও ভোটের আগে নাগাড়ে মিথ্যা কথা বলছেন।’’

বাবুলের প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনও এ দিন রানিগঞ্জের বক্তারনগর, নূপুরে প্রচার সারেন। বল্লভপুরে তিনি বলেন, ‘‘যা করার সব কাজ দিদিই তো করেছেন। দিদির নাম করে ভোট চাইতে লজ্জা লাগে না। কারণ দিদি যা কাজ করেছেন, তাতে ভোট আমাদেরই পাওয়া উচিত।’’ সেই সঙ্গে মুনমুন দাবি করেন ‘সিপিএম অস্তিত্বহীন’।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

যদিও সিপিএম প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল প্রার্থী আসলে নিজেও জানেন, রাজ্যে গত কয়েক বছরে কোনও কাজই হয়নি। সিপিএমের অস্তিত্ব আছে কি না, সেটা ভোটের ফলেই উনি টের পেয়ে যাবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন