প্রতীকী ছবি।
আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি জারির পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ছাড়া কোনও অফিসারকে বদলি বা কারও দায়িত্বভার বদল করা যায় না। অথচ এক পুলিশ সুপার সেই বিধি ভেঙে অধস্তন দুই অফিসারকে বদলি করেছেন বলে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। শনিবার বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রশিদ মুনির খানের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সিপিএমের সম্পাদক শমীক লাহিড়ী।
অভিযোগ, রশিদ ১১ এপ্রিল দুই ডিএসপি-র বদলির বিষয়ে লিখিত নির্দেশ জারি করেছেন। সোনারপুর ও নরেন্দ্রপুর থানা তদারকির দায়িত্বে ছিলেন যথাক্রমে ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিআইবি) মির্জা মির কাশিম এবং সৌমেন্দ্রনাথ সরকার (ক্রাইম)। পুলিশ সুপার সম্প্রতি সোনারপুর ও নরেন্দ্রপুর থানার পরিবর্তে ওই দু’জনকে ভাঙড় ও কাশীপুর থানার তদারকির দায়িত্ব দিয়েছেন। ১১ এপ্রিলের ওই অর্ডার (মেমো নম্বর ১৮১/এসপি) জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং কাশীপুর ও ভাঙড় থানার আইসি-দের জরুরি ভিত্তিতে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
বিধি জারি তো বটেই, প্রথম পর্যায়ের ভোটও হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ওই পুলিশ সুপার বদলির নির্দেশ জারি করে বিধি ভেঙেছেন বলে কমিশন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন শমীকবাবু। তিনি রবিবার বলেন, ‘‘কমিশনের চোখ এড়িয়ে রাজ্য পুলিশে এ ভাবে বদলির নির্দেশ জারি করা হচ্ছে। ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। এমন অবস্থায় রাজ্য পুলিশের মাধ্যমে কী ভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব? কমিশনের পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন।’’ দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিজেপির জেলা সভাপতি (পশ্চিম মণ্ডল) অভিজিৎ দাস বলেন, ‘‘পুলিশ নানা ভাবে শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। এখন কমিশনকেও তোয়াক্কা করছে না। এ-সব ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রয়োজন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’