general-election-2019-vote-colour

গাড়ি থেকে নামতেই স্লোগান- লাল লাল লাল সেলাম! শুনে থ ভারতী

বামেদের একটা অংশ ভেঙেই বিজেপি বাড়ছে, এ কথা এখন আকছার শোনা যায়। তৃণমূল নেতারাও সেই ব্যাখ্যাই দেন।

Advertisement

দেবমাল্য বাগচী

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ০২:১৪
Share:

পিংলায় প্রচারে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

প্রচারে আসছেন গেরুয়া প্রার্থী। প্রস্তুত কর্মী-সমর্থকেরা। প্রার্থী গাড়ি থেকে নামতেই উঠল স্লোগান— 'লাল লাল লাল সেলাম'।

Advertisement

বামেদের একটা অংশ ভেঙেই বিজেপি বাড়ছে, এ কথা এখন আকছার শোনা যায়। তৃণমূল নেতারাও সেই ব্যাখ্যাই দেন। তবে এ দিন এমন ঘটনায় কার্যত অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। বিজেপির অবশ্য দাবি, তৃণমূলই ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

বৃহস্পতিবার পিংলা বিধানসভা এলাকায় প্রথম প্রচারে এসেছিলেন ভারতী। পিংলার মুণ্ডমারিতে গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে শুনতে হয় ‘লাল সেলাম’। দলের প্রার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করেছিল বিজেপি। দলের পিংলা পশ্চিম মণ্ডলের সভাপতি প্রত্যুত হরের নেতৃত্বে ছিল এই কর্মসূচি। প্রথমে ‘বিজেপি জিন্দাবাদ’ স্লোগান উঠলেও পরে ভারতীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার সময়ই ঘটে উলটপুরাণ। ‘লাল সেলাম’ স্লোগান কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন ভারতী। পরে একজন নেতা ওই স্লোগান থামিয়ে ‘বিজেপি জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিকে শুরু করেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ কাণ্ড ঘটল কী করে?

এ দিনের কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা বিজেপির পশ্চিম মণ্ডলের সভাপতি প্রত্যুৎ হর বলেন, ‘‘ভিড়ে অনেকেই ছিল। কে এই স্লোগান দিয়েছে বুঝতে পারিনি। পরে আমরা তাকে চিহ্নিত করব। আমাদের কর্মী হলে বিজেপির স্লোগান যাতে আগামীদিনে ভুল না হয় তা শেখাব।’’ বিজেপির ঘাটাল জেলা সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য একটা সময় জেলার সিপিএম নেত্রী ছিলেন। স্লোগান বিভ্রাট নিয়ে তাঁর অভিযোগ, ‘‘মনে হচ্ছে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে লোক পাঠিয়ে এমন স্লোগান দিয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে একদিন সিপিএমের লোকেরা তৃণমূলকে শক্তিশালী করেছিল। কিন্তু তৃণমূলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অনেক সিপিএম আমাদের দলে এসেছেন। এতে অপরাধ কোথায়?’’ আর গোটা ঘটনার কথা মানতেই চাননি ভারতী। তাঁর দাবি, ‘‘কর্মীরা জয় শ্রীরাম বলছিলেন। মিডিয়া অন্য কথা বানাচ্ছে।’’

নেতৃত্ব যে ব্যাখ্যাই দিন না কেন, ভারতীকে লাল সেলাম স্লোগানের ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির কটাক্ষ, ‘‘অত্যাচারী সিপিএম আর অত্যাচারী প্রাক্তন পুলিশ সুপার এখন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছেন। তাই এমন স্লোগান মুখ ফস্কে নয়, অভ্যাসবশে বেরিয়ে আসছে। ১২মে মানুষ ভোটে এর জবাব দেবেন।’’

বিজেপি-র এক সূত্রের ব্যাখ্যা, মুণ্ডমারি এলাকায় বেশ কয়েকদিন আগেই সিপিএম ছেড়ে অনেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গোটা পিংলা ব্লকেই সিপিএমের একটি বড় অংশ বিজেপিকে সমর্থন জানাচ্ছে। এই স্লোগান তারই প্রতিফলন। সে কথা মেনে বিজেপির মণ্ডলের সভাপতি প্রত্যুৎ-ও বলছেন, ‘‘সিপিএম, তৃণমূল-সহ বিভিন্ন দলের বহু নেতা-কর্মী আমাদের দলে এসেছেন। উচ্ছ্বাসে-আবেগে সিপিএম থেকে আসা কেউ এমন স্লোগান দিতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement