জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির ‘বর্ধিত শাখা’ বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘এবারের ভোটে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিজেপির কথাতেই চলছে। আর কারও কথা শুনছে না।’’
শেষ দফা ভোটের ২৪ ঘন্টা আগে নিরপেক্ষতা প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনের উপরে আরও চাপ তৈরি করল তৃণমূল। প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়ার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘বিজেপির কাছে কমিশন বিক্রি হয়ে গিয়েছে।’’ সেই সুরেই পার্থ এদিন বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের আলাদা অস্তিত্ব আছে বলে মনে হচ্ছে না। বিজেপি যা বলছে, পর মুহূর্তে তাই করছে তারা। আমরা কত চিঠি দিয়েছি। তার কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।’’ তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পর্যন্ত সকলের নামে বিধিভঙ্গের অভিযোগ করা হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এবার তো প্রচারের পুরো সুযোগও দেওয়া হল না আমাদের। নিজেদের স্বার্থে কমিশনকে ব্যবহার করা বিজেপি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে।’’ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘হারের অজুহাত দিতে শুরু করেছে তৃণমূল।’’
অন্যদিকে এদিনও বাংলার ‘হিংসা’ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। দিল্লিতে দেশের বাকি রাজ্যগুলির প্রচারের শেষপর্বে সাংবাদিক বৈঠকে এ রাজ্যে দলের ৮০ কর্মী খুন হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন শাহ। সেই প্রসঙ্গেই বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করে পার্থ বলেন, ‘‘কুৎসা, মিথ্যা আর হিংসার এইরকম প্রচার আগে কোনও ভোটে হয়নি। বাংলাকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।’’ তারপরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ উড়িয়ে পার্থ বলেন, ‘‘যাদের হাতে দাঙ্গার রক্ত লেগে আছে, তারা এখানেও দাঙ্গা বাধাতে এসেছিলেন।’’
বিদ্যাসাগরের মূর্তি প্রসঙ্গে তিনি এদিনও জানিয়েছেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি রাজ্য সরকারই তৈরি করে যেখানে ছিল, সেখানেই বসাবে। কলকাতায় তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও তাঁর সম্পর্কিত জিনিসপত্র নিয়ে সেই মিউজিয়াম তৈরি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।