Lok Sabha Election 2019

আটক টাকা দলেরই, দাবি বিজেপি নেতার

রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোল স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে রেল পুলিশ গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও লক্ষ্মীকান্ত সাউ নামে ওই দু’জনকে ধরে। তাঁদের কাছে প্রায় এক কোটি টাকা মেলে। গৌতম বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৯ ০২:৪২
Share:

ভোটের কাজে দলের যে টাকা খরচ হয়নি, তা কলকাতায় ফেরত নিয়ে যাওয়ার সময়েই ধরা পড়েন তাঁদের দুই কর্মী, দাবি করলেন বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নথি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। আসানসোল স্টেশন থেকে প্রায় এক কোটি টাকা-সহ ধৃত দু’জনকে জেরা করে আরও ১৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি সিআইডি-র। শুক্রবার ধৃতদের ফের আদালতে তোলা হলে দশ দিন সিআইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোল স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে রেল পুলিশ গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও লক্ষ্মীকান্ত সাউ নামে ওই দু’জনকে ধরে। তাঁদের কাছে প্রায় এক কোটি টাকা মেলে। গৌতম বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক। রেল পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জেরায় নিজেদের বিজেপি কর্মী দাবি করে জানান, এই টাকা কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। আদালত ধৃতদের চার দিন রেল পুলিশের হেফাজতে পাঠায়।

ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। এ দিন ধৃতদের ফের আসানসোল আদালতে তোলা হয়। এ দিন গোয়েন্দারা আদালতে দাবি করেন, ধৃতদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বার্নপুরের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হিসেব বহির্ভূত প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে ওই ব্যবসায়ী পলাতক।

Advertisement

আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণবাবু এ দিন দাবি করেন, ‘‘ধৃতেরা আমাদের সক্রিয় কর্মী। তাঁদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা দলীয় তহবিলের। আমরা সে সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি আদালতে জমা দিয়েছি।’’ তাঁর আরও দাবি, আসানসোল, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান-দুর্গাপুর ও বিষ্ণুপুর— দক্ষিণবঙ্গের এই পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে খরচ করার জন্য ওই টাকা এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা খরচ না হওয়ায় দুই কর্মীর হাতে প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে ফেরত পাঠানো হচ্ছিল। ঘটনার পরে দিলীপবাবু জানিয়েছিলেন, গৌতম এক সময়ে আপ্ত সহায়ক থাকলেও এখন আর তাঁর সঙ্গে নেই। ঘটনাটি চক্রান্তও হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এ দিন তাঁরও বক্তব্য, ‘‘ওই টাকা ফেরত আনার বিষয়টি দলের প্রদেশ নেতৃত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, চিঠি এখনও পাননি, তাই গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন