বিজেপির ধর্না। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের বাইরে। —নিজস্ব চিত্র।
ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘সায়েন্টিফিক রিগিং’-এর অভিযোগে সরব হল বিজেপি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের বাইরেধর্নাতেও বসল তারা। শেষমেশ ৯০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আশ্বাস পেয়ে সাময়িক ভাবে সেই অবস্থান তুলেও নিল বিজেপি।
অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল ভোট লুঠকরে চলেছে।নির্বাচন কমিশন খাতায়কলমে ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা বললেও, বুথ কেন্দ্রে সে ভাবে বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে না। কোন বুথেকাকে পোলিং এজেন্ট করা হচ্ছে, সে তথ্য আগে থেকেই পৌঁছে যাচ্ছে তৃণমূলের কাছে। বুথে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের বসতেও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতৃত্বরা।
বুধবার রাত থেকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের বাইরে রাস্তাতেই বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ এবং শঙ্কুদেব পন্ডা ধর্নায় বসেন। বৃহস্পতিবার ধর্নাস্থলেই রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করে বিজেপি। তার পর সৌমিত্র খাঁ এবং শঙ্কুদেব মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন: ‘দিদি, আপনার থাপ্পড়ও আমার কাছে আশীর্বাদ’, পুরুলিয়ায় মমতাকে জবাব মোদীর
আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করার পর শঙ্কুদেব বলেন, “যতক্ষণ না পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আমাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তত ক্ষণ প্রতিবাদ চলবে। রাস্তাতেই আমরা বসে থাকব। তৃণমূল কৌশলে সায়েন্টেফিক রিগিং করছে। পুলিশ-প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে।”
বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কার্যকলাপ নিয়েও সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সৌমিত্র খাঁয়ের কথায়: “বহিরাগত অনুব্রত বিষ্ণুপুরে ঢুকে ভয় দেখাচ্ছে। সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করছে। এ বিষয়েও কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।”
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম নিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা লক্ষ্মণের
এ দিন দুপুরে যদিও রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারবলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীদরকার। সৌমিত্র খাঁকে কমিশন জানিয়েছে ৯০ শতাংশ বুথে বাহিনী থাকবে। চিঠি দিয়ে আমরা জানিয়েছি ১০০ শতাংশ বুথেই বাহিনীচাই। তবে সাময়িকভাবে আমরা অবস্থান তুলে নিচ্ছি। পরের দফা পর্যন্ত দেখব।’’