কসবায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সিদ্ধার্থ হালদার। —নিজস্ব চিত্র
কোথাও ভোট হয়ে গিয়েছে। কোনও কেন্দ্রে বাকি শেষ দফার ভোট। কিন্তু অশান্তির বিরাম নেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বৃহস্পতিবার রাতে কসবায় মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর। অন্য দিকে ওই রাতেই নদিয়ার চাপড়ায় খুন হলেন এক বিজেপি কর্মী। উভয় ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে রাজ্য জুড়ে যে সন্ত্রাসের শুরু করেছিল তৃণমূল, তা এখনও চলছে। যদিও এই দুই কর্মীর মৃত্যু বা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় দলের যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ছ’দফার ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। রবিবারই সপ্তম তথা অন্তিম দফায় রাজ্যের ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। তার আগেও অশান্তি অব্যাহত। বৃহস্পতিবার রাতে কসবার রাজডাঙা এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী সিদ্ধার্থ হালদারকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মারের চোটে মাথা ফেটে যায় সিদ্ধার্থর। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের ২৫-৩০ জন মিলে সিদ্ধার্থর উপর হামলা চালায়। তাঁকে বাঁশ লাঠি দিয়ে পেটানো এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। পরে তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে প্রার্থমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
অন্য দিকে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে গত ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফায়। কিন্তু তার পরও এই কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসছিল। বিজেপির অভিযোগ, বুধবার রাতে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের চাপড়া বিধানসভা এলাকার ভীমপুরের এলাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা হারাধন মৃধার বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। রাতেই তাঁকে কৃষ্ণনগরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
চাপড়ায় নিহত বিজেপি কর্মী হারাধন মৃধা। —নিজস্ব চিত্র
আরও পডু়ন: গডসে বিতর্কে অবস্থান বদল বিজেপির! সাধ্বী-হেগড়ের জবাব তলব অমিত শাহের
আরও পডু়ন: বাংলা মমতার জায়গির নয়, খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর
ঘটনার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, ‘‘ন’জনের নামে ভীমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁরা সবাই সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে আমরা কৃষ্ণনগর-মাজদিয়া রোড আেড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রেখেছিলাম।’’