হাসিমুখে: সুদর্শন রায়চৌধুরী ও দলীয় প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায়ের সঙ্গে ইয়েচুরি। নিজস্ব চিত্র
গত পাঁচ বছরে বিপন্ন হয়েছে ভারতের গণতন্ত্র, শ্রীরামপুরে নির্বাচনী প্রচারে এসে এই ভাষাতেই নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আক্রমণ করলেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন আরএমএস মাঠে বৃহস্পতিবার সিপিএম প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায়ের সমর্থনে সভা করেন তিনি। ছোট মাঠ উপচে পড়ে বাম কর্মী সমর্থকে। সভা মঞ্চ থেকে প্রবীণ এই সিপিএম নেতা রীতিমত শ্লেষের সুরে বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে মোদীর নেতৃত্বে ভারতবর্ষের গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে। গত পঞ্চাশ বছরে এই পরিস্থিতি আমরা দেখিনি। লোকসভাই গণতন্ত্রের পীঠস্থান। কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অকেজো করতে লোকসভাকেই কার্যত বানচাল করে দেওয়া হচ্ছে।’’ উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘সে রাজ্যে রোমিও পুলিশিং চলছে। তরুণ সমাজ কার সঙ্গে মিশবে, কী খাবে, কী করবে, কী করবে না, তার পুরোটাই ওরা ঠিক করে দিচ্ছে। ১১ বছরের বালিকাদের হাতে বই নয়, তলোয়ার তুলে দেওয়া হচ্ছে।’’
এ দিন ঝরঝরে বাংলায় প্রতিবাদের গান গেয়ে তিনি বলেন, ‘‘এ বার কিন্তু আর ভাষায় নয়, প্রতিরোধের আগুন ছড়িয়ে আপনাদের ভোট দিতে হবে। এই বাংলা আর ভারতকে রক্ষা করতে হবে। সামনে কঠিন লড়াই।’’ উপস্থিত শ্রোতারা ইয়েচুরির মুখে বাংলা গানের কলি শুনে প্রচুর হাততালি পড়ে।
টানা চল্লিশ মিনিটের বক্তব্যের একেবারে শেষে তিনি এক চৌকিদারের গল্প শোনান শ্রোতাদের। যে চৌকিদার কাজ না করে মালিককে শুধু গল্প শোনাতো। একদিন সে কথা বুঝতে পেরে বোনাস দিয়ে চৌকিদারকে বিদায় করেন মালিক। ইয়েচুরি বলেন, ‘‘ভারতের জনতা চৌকিদারকে পাঁচ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্ব ইনাম দিয়েছেন। কিন্তু কাজ না করে গল্প শোনানোর জন্য এবার তাঁর চাকরি যাবে। আমার বিশ্বাস জনতা সেটাই করবেন।’’
এ দিনের সভায় সীতারাম ছাড়াও বক্তব্য রাখেন শ্রীরামপুরের প্রাক্তন সাংসদ সুদর্শন রায়চৌধুরী। ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। শেষ বক্তা ছিলেন প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায়।