ভারতী ঘোষ। ফাইল চিত্র
মনোনয়নের দু’দিন আগে ফের সিআইডি ডেকে পাঠাল ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষকে। মঙ্গলবার রাতে তাঁর কলকাতার বাড়িতে এক নোটিস পাঠিয়ে ১৮ এপ্রিল ভবানী ভবনে সিআইডি ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতীর আইনজীবী পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘ওই দিনই আমার মক্কেলের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা। আমরা সিআইডির নোটিস গ্রহণ করিনি।’’ তবে কোন মামলার সূত্রে ভারতীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি বলে জানান তিনি।
এ দিনই অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানে কিছুটা সুরাহা পেয়েছিলেন ভারতী। মঙ্গলবার ভারতী-মামলা উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ পূর্বাপর বিশ্লেষণ করে ফের তাঁকে জেরা করার অনুমতি চান। শীর্ষ আদালত অবশ্য এ দিন কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছয়নি। ২৫ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চে উঠেছিল ভারতী মামলা। রাজ্যের তরফে কপিল সিব্বল দীর্ঘ দেড় ঘণ্টার বক্তব্যে সোনা প্রতারণা-সহ ভারতীর বিরুদ্ধে ওঠে সব অভিযোগের খুঁটিনাটি বর্ণনা দেন। সেই সঙ্গে প্রাক্তন আইপিএস-কে ফের জেরা করার অনুমতি চান।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কোন ঠিকানায় ভারতীকে সমন পাঠানো হবে, তা-ও জানতে চান সিব্বল। ভারতীর দুই আইনজীবী নীরজ কিষেণ কল ও মহেশ জেঠমালানি পাল্টা জানান, ভারতী মামলার কাজে সব রকম সহযোগিতা করছেন, আদালতে হাজিরাও দিচ্ছেন। তা ছাড়া, জেরার অনুমতির ক্ষেত্রে এক তরফের বক্তব্য শুনে আদালত কী ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই প্রশ্নও তোলেন ভারতীর আইনজীবীরা। এরপরই শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন বিচারপতি। সে দিন নিজেদের বক্তব্য পেশ করবেন ভারতীর আইনজীবীরা। ভারতীর বর্তমান ঠিকানা জানানোর নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।
এ দিন শীর্ষ আদালত আরও জানতে চায়, ভারতীর বিরুদ্ধে সব মামলাই পুলিশের চাকরি ছাড়ার পরে দায়ের হয়েছে কিনা। রাজ্য ও এবং ভারতীর আইনজীবী, দু’তরফেই জানানো হয়, মামলা হয়েছে চাকরি ছাড়ার পরে। বস্তুত, মামলার গেরোয় ভারতী ভোটে লড়তে পারবেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। পরে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় আপাতত ভারতীকে গ্রেফতার করা যাবে না। তার জোরেই দুই মেদিনীপুরের
বিভিন্ন প্রান্তে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছেন এই পদ্ম প্রার্থী। এ দিনও ভারতী অভিযোগ করেন, ‘‘প্রচারে জনসমর্থন দেখে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই মামলা দিয়ে আমাকে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’ তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য বলেন, ‘‘ঘাটালে বিজেপি কোনও ফ্যাক্টরই নয়। ফলে ওদের প্রার্থীকে নিয়ে আমাদের কোনও ভাবনাই নেই।’’