মুকুল রায়ের গাড়িতে জোড়া তল্লাশি।
ভোটের মরসুমে সকলের গাড়ি তল্লাশি করার দাবি তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, কারও গাড়িই যেন বাদ না যায়। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রবিবার কলকাতায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হল মুকুল রায়ের গাড়িতে জোড়া তল্লাশি ঘিরে।
এ দিন সকালে ভোট দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সেখান থেকে কলকাতায় ফেরার পর বিমানবন্দর চত্বরেই এক দফা তাঁর গাড়ি তল্লাশি করেন বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কর্মীরা।প্রথম দফার তল্লাশি পর্ব মিটিয়ে তাঁর গাড়ি ভিআইপি রোডে কৈখালির কাছে পৌঁছতেই ফের আটকানো হয়। বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কর্মীরা ফের একবার তল্লাশি করেন তাঁর গাড়ি। কয়েক মিনিটের মধ্যে জোড়া তল্লাশিতে অবশ্য বাধা দেননি ওই বিজেপি নেতা। তিনি নিজেই গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ান। তবে তল্লাশি নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি মুকুল।
তিনি অভিযোগ করেন,‘‘ওই রাস্তা ধরে আমার আগেই রাজ্যের এক মন্ত্রীর গাড়ি গিয়েছে। সেই গাড়ি কিন্তু তল্লাশি করেননি পুলিশ কর্মীরা।” মুকুল রায় বলেন,‘‘গোটাটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” তিনি দাবি করেন, মন্ত্রীর গাড়িতে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিল। তবে সেই গাড়িতে কোন মন্ত্রী ছিলেন, তা তিনি জানাতে চাননি।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী একটি জনসভায় দাবি তুলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী-সহ সকলের গাড়ি তল্লাশি হওয়া উচিৎ। তিনি নিজের গাড়ি তল্লাশির কথাও বলেন।বিজেপি নেতারা ভোটারদের প্রভাবিত করতে টাকার বাক্স নিয়ে ঘুরছেন বলে বেশ কয়েক দিন ধরেই অভিযোগ করছেন মমতা। দিন দুয়েক আগেই ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের গাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে।
আরও পড়ুন, ভারতীকে ঘিরে বিক্ষোভ, কেশপুরে শূন্যে গুলি-লাঠিচার্জ কেন্দ্রীয় বাহিনীর, পরপর গাড়ি ভাঙচুর
যদিও পুলিশ এর মধ্যে রাজনীতির কিছু দেখছে না। ভোটের মরসুমে এটা তাদের কাছে রুটিন তল্লাশি। বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, মুকুলের মাল্টি ইউটিলিটি ভেহিকল-এ থাকা একাধিক ব্যাগ তল্লাশি করে মুড়ি-বিস্কুট ছাড়া বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি।