Lok Sabha Election 2019

অপসারিত এসডিপিও, বিশেষ নজর ৬০% বুথে

সপ্তম পর্বের ভোটে রাজ্যে থাকবে ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৯ ০৪:০০
Share:

—ফাইল চিত্র।

ভোট-সপ্তমীতে একশো শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৬০% বুথে থাকবে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নজর। এই পরিকল্পনার মধ্যেই ভোট-ষষ্ঠীতে সংবাদমাধ্যমে আসা অশান্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েক। এর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসি-কে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কমিশন।

Advertisement

সপ্তম পর্বের ভোটে রাজ্যে থাকবে ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে ৩৪ কোম্পানি থাকবে প্রথম ছ’দফায় যে-৩৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে, তার স্ট্রংরুম পাহারায়। ফলে মোট ৬৭৬ কোম্পানি থাকবে ভোট পরিচালনায়। রবিবারের ভোটে ৪৪৪টি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) থাকবে। বারাসত পুলিশ জেলায় ৫৫ কোম্পানি, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে ৪৮ কোম্পানি, বসিরহাট পুলিশ জেলায় ৭১ কোম্পানি, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ২৭ কোম্পানি, কলকাতা পুলিশের এলাকায় ১৪৭ কোম্পানি, বারুইপুর পুলিশ জেলা ১০২ কোম্পানি, ডায়মন্ড হারবার ৮১ কোম্পানি, সুন্দরবন পুলিশ জেলায় ৮০ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। বাকি ৬৫ কোম্পানি থাকবে ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের নিরাপত্তায়। তার মধ্যে ভাটপাড়ায় ছয় কোম্পানি, দার্জিলিঙে ১৬ কোম্পানি, হবিবপুরে ১১ কোম্পানি এবং ইসলামপুরে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ২০ মে, সোমবার মুর্শিদাবাদের কান্দি ও নওদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখছে কমিশন।

লোকসভা ভোটের প্রচার বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শেষ হলেও উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা আগেই তা শেষ হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা মুড়ে ফেলার পাশাপাশি ৬০% ক্ষেত্রে কমিশনের ‘চোখ’ হিসেবে থাকবেন মাইক্রো পর্যবেক্ষক। থাকবে ওয়েবকাস্টিং, সিসি ক্যামেরা, ভিডিয়ো ক্যামেরা। এক্ষেত্রে যাদবপুরে ৬৯%, জয়নগরে ৬৮%, মথুরাপুরে ৬৭%, ডায়মন্ড হারবারে ৬৬.৫%, দক্ষিণ কলকাতায় ৫৮%, দমদমে ৫৬%, বারাসতে প্রায় ৫৪%, বসিরহাট ও উত্তর কলকাতায় ৫০% বুথে এই চারটি পদ্ধতিতে বিশেষ নজর রাখবে কমিশন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ষষ্ঠ পর্বের ভোটে সংবাদমাধ্যমে আসা অশান্তির রিপোর্ট এ দিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন অফিসার (সিইও)-এর দফতর থেকে চেয়ে পাঠান নায়েক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ওই দিনের অশান্তির ছবি দেখিয়েছে। বিশেষ পর্যবেক্ষকের তরফে সেই ছবি চেয়ে পাঠানোটা তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত।

এ দিন সন্ধ্যায় ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) মিঠুনকুমার দে এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসি কৌশিক দাসকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন। নির্দেশিকায় প্রাসঙ্গিক রিপোর্ট দ্রুত পাঠাতে বলা হয়েছে। এসডিপিও-র বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শো-কে কেন্দ্র করে গোলমাল হয় কলেজ স্ট্রিট চত্বরে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয় বিদ্যাসাগর কলেজে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সব কারণেই এক ওসি এবং এক এসডিপিও-কে সরিয়ে দিয়ে থাকতে পারে কমিশন। তাদের নির্দেশিকায় ওই দুই পুলিশকর্মীকে ভোটের কাজ থেকে দূরে রাখার কথা বলা হলেও কী কারণে সরানো হল, তার উল্লেখ করা নেই। ওই দু’জনের পরিবর্তে কারা আসবেন, তা-ও জানানো হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন