ভোটের মুখে চাপ পরোয়ানা নিয়ে

রাজ্যের আট-ন’টি জেলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রূপায়ণের হাল দেখে কমিশন সন্তুষ্ট নয়।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

দীর্ঘদিন আগে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর না-হলেও ভোটের মুখে সেগুলো বলবৎ করতেই হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে না-পারার ব্যাপারে কোনও অজুহাত দিলে ‘বিপদ’ বাড়তে পারে দায়িত্বে থাকা অফিসারের। এতে ছোট থেকে বড়, সব কর্তারই দায়বদ্ধতা থাকবে। সে-ক্ষেত্রে ভোটার তালিকাকেই হাতিয়ার করবে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

রাজ্যের আট-ন’টি জেলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রূপায়ণের হাল দেখে কমিশন সন্তুষ্ট নয়। গত শুক্রবার এমডি, সিপি, এসপি-দের সঙ্গে ভিডিয়ো-সম্মেলনে এই বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন কমিশনের অন্যতম কর্তা সুদীপ জৈন। তবে একটি সূত্রের দাবি, আগের তুলনায় এ বার রাজ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা রূপায়ণের হাল ভাল। কমিশন-কর্তাদের মতে, আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল। ভোটার তালিকাকে হাতিয়ার করে পরোয়ানা রূপায়ণের বিষয়ে কমিশন চাপ বাড়াতে চাইছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে তালিকায় সংশোধন বা বিয়োজন করা যাবে না। এখন সাত নম্বর ফর্মের ভিত্তিতে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। দিন ঘোষণার পরে একটি বিশেষ তালিকা তৈরি হয়। যার সংক্ষিপ্ত নাম ‘এএসডি’ (অ্যাবসেন্ট-শিফটেড-ডেড) অর্থাৎ অনুপস্থিত-স্থানান্তরিত-বিয়োজিত বা মৃত।

কোথাও কারও নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে, কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে রিপোর্টে উল্লেখ থাকলে তাঁর নাম কমিশনের বিশেষ ‘এএসডি’ তালিকায় ‘অনুপস্থিত’ হিসেবে উল্লেখ করা হবে। সেই ব্যক্তি ভোট দিতে গেলে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে। তখন ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করবে পুলিশ। তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে রিপোর্টে লেখা হল কেন, অফিসারের কাছেই সেই কৈফিয়ত তলব করবে কমিশন। এক কর্তার কথায়, ‘‘যাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, তিনি ভোট দিতে এলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, রিপোর্টেই গোলমাল আছে।’’ তবে ‘এএসডি’ তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বুথে গেলে তাঁকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। কারণ অনেক তথ্য দিতে হবে এবং বিশেষ ফর্ম পূরণের পরেই তিনি ভোট দিতে পারবেন। ওই কর্তার মতে, কাউকে এ ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ করতে পারলে অনেকটাই কাজ হবে।

Advertisement

চলতি সপ্তাহে ভোট ঘোষণা হতে পারে বলে নানা মহলে চর্চা চলছে। তার আগেই এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাব এবং অন্যান্য অফিসার। কয়েক সপ্তাহ ধরেই জেলা সফর বাড়িয়েছেন সিইও দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, যত বেশি জেলা সফর করা যায়, ততই গতি পায় জেলার কাজ। খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করাও সম্ভব হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন