ছবি: সংগৃহীত।
ভোট-ষষ্ঠীতে বঙ্গের কোথাও কোথাও অশান্তির চিত্র ফুটে উঠেছিল। আগামী রবিবার সপ্তমীতে সেই চিত্র ফুটে উঠলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর ক্ষেত্রেও কড়া পদক্ষেপ করতে পারে নির্বাচন কমিশন। বুধবার কমিশন সূত্রে এই ইঙ্গিত মিলেছে।
১৯ মে কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, দমদম, বারাসত, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর, জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। তার প্রস্তুতি পর্বে বুধবার সকালে ভিডিয়ো-সম্মেলন করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেখানে ছিলেন রাজ্যের সিইও আরিজ আফতাব, বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক, বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। সেই সঙ্গে ন’টি কেন্দ্রের সাধারণ, পুলিশ এবং খরচ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষকেরাও।
এ দিন ভোট সচেতনতা সংক্রান্ত একটি ট্রামের উদ্বোধনী কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা ছিল সিইও-র। কিন্তু তাঁর সেই কর্মসূচি তড়িঘড়ি বাতিল করে দেওয়া হয়। তবে সিইও দফতরের এক কর্তারদাবি, ‘‘এমন কিছু হয়নি। সিইও-র তো অন্য কর্মসূচি থাকতেই পারে। বিষয়টির মধ্যে অন্য কিছু অর্থ খোঁজা অর্থহীন।’’ অবশ্য অন্য একটি অংশের দাবি, কার্যত ভিডিয়ো-সম্মেলনের জন্যই ট্রাম কর্মসূচি বাতিল করেন সিইও।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চের তরফে সপ্তম পর্বের ভোটের বিষয়টি এ দিন সিইও-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তাদের বিশদ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই কমিশনের তরফে জানানো হয়, রবিবার পশ্চিমবঙ্গের ন’টি কেন্দ্রের ভোটে কোনও রকম অশান্তির চিত্র যেন দেখা না-যায়। কারণ, একশো শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থাকছে। প্রত্যেক ভোটার যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তার জন্য ইতিমধ্যেই সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। তার পরেও যদি ওই দিনের ভোটে অশান্তি হয়, তা হলে সিইও-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে।
ওই সূত্রের দাবি, ষষ্ঠ দফার ভোটে সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই অশান্তি হয়েছিল। তাতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। তাই সপ্তম তথা অন্তিম পর্বের ভোটে এই ধরনের হুঁশিয়ারি কমিশনের।