ভোটকর্মীদের কাছে হাসপাতালের তথ্য দেবে নির্বাচন কমিশন।
সব দিক থেকেই ভোটকর্মীদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা হচ্ছে। নির্বাচন পর্বে তাঁদের কেই অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে যাতে চিকিৎসা শুরু হয়, সেই জন্য এলাকার হাসপাতাল ও অ্যাম্বুল্যান্সের তথ্যও দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার নিজেদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন ভোটকর্মীরা। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তাঁরা। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আসা কর্মীদের মিলিয়ে এক-একটি ভোটকর্মীদের দল তৈরি হয়। দল তৈরির আগে পর্যন্ত পরস্পরের কাছে তাঁরা সকলেই অপরিচিত থাকেন। যে এলাকায় গিয়ে ভোট নেন, তার সঙ্গেও পরিচয় থাকে না ওই সব কর্মীর। সেই সব এলাকায় কোনও ভোটকর্মী আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আতান্তরে পড়েন দলের অন্য সদস্যেরা। এ বার সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই পশ্চিমবঙ্গের ভোটকর্মীদের হাতে নিকটবর্তী হাসপাতাল ও অ্যাম্বুল্যান্স সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছে মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর। ভোটকর্মীদের কাছে টেক্সট মেসেজ (এমএমএস) মারফত বা এই তথ্য সংবলিত কয়েকটি পাতার নোট দেওয়া হতে পারে বলে সিইও দফতর সূত্রের খবর।
লোকসভার ভোট এপ্রিল-মে মাসে হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সেই সময় প্রবল গরম থাকে। ফলে ভোট নিতে যাওয়ার সময় বা ভোট চলাকালীন কোনও ভোটকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। কোথাও কোনও গোলমাল হলে তখনও অসুস্থ বা আহত হতে পারেন কেউ কেউ। হাসপাতালের তথ্য না-পেয়ে কোনও ভোটকর্মী বা দলের সদস্য যাতে সমস্যায় না-পড়েন, সেই জন্যই নিকটবর্তী হাসপাতাল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে সিইও দফতর। অ্যাম্বুল্যান্সের তথ্য সংবলিত তালিকাও তৈরি করছে তারা। এক কর্তার কথায়, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্স-কর্তৃপক্ষের কাছে কোন কোন বুথ তাঁর এলাকায় রয়েছে, তা আগে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
এই ধরনের পদক্ষেপ কেন? সিইও দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, অপরিচিত এলাকায় ভোটকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যা হয়। ভোটকর্মীদের কাছে এই বিষয়ে তথ্য থাকলে সমস্যা হবে না। অন্য এক কর্তা বলেন, ‘‘অতীতে লোকসভা নির্বাচনে এক ভোটকর্মী আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর কাছে নিকটবর্তী হাসপাতালের তথ্য না-থাকায় অনেক দেরিতে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। তিনি মারা যান। ওই ভোটকর্মী বা তাঁর দলের কাছে নিকটবর্তী হাসপাতালের তথ্য থাকলে হয়তো ঘটনাটি এড়ানো যেত।’’