প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বা বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র এবং ভোটার ভেরিফায়েব্ল পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপ্যাট) নিয়ে কারচুপির আশঙ্কায় সুর চড়িয়েছে বিরোধী শিবির। কিন্তু কোনও মতেই ব্যালট পেপারের যুগে যে আর ফেরা হবে না, সে-কথা জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যেই ইভিএম-ভিভিপ্যাট নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর বন্দোবস্ত করছে তারা।
সেই পদক্ষেপের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আমজনতাকে বোঝাচ্ছেন। এ বার রাজ্যের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ইভিএম-ভিভিপ্যাট বোঝাতে চায় কমিশন। এ বিষয়ে ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রস্তাব পাঠাচ্ছে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর।
প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, কলকাতা ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, জোকা আইআইএম, খড়্গপুর আইআইটি, শিবপুরের আইআইইএসটি-সহ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইভিএম-ভিভিপ্যাটের ‘পাঠশালা’র আয়োজন হচ্ছে। ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাচ্ছে সিইও দফতর। মার্চের
দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওই পাঠশালার ব্যবস্থা করতে চায় তারা। পাঠশালায় হাতেকলমে ইভিএম-ভিভিপ্যাট বোঝাবেন সিইও দফতরের মোবাইল ভ্যান টিমের লোকজন। তাঁরা ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মল, সিনেমা হল, সরকারি অফিস-সহ বিভিন্ন জায়গায় ইভিএমের বিষয়ে আমজনতাকে সচেতন করার কাজে নেমে পড়েছেন। এক কমিশন-কর্তার কথায়, ‘‘ইভিএমের সঙ্গে আসন্ন লোকসভা ভোটে ভিভিপ্যাট যুক্ত হয়েছে। এটা নতুন পদ্ধতি। সেই বিষয়ে আমজনতাকে জানাতেই এই ধরনের পাঠশালার ব্যবস্থা হচ্ছে।’’