চড়া রোদেও মৌসমকে ঘিরে উচ্ছ্বাস

হুডখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে কখনও তিনি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ালেন বা কখনও ঝুঁকে মেলালেন হাত। রবিবার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর মোড় থেকে গাহুলাডারা হয়ে নবাবগঞ্জ মোড় পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার রাস্তায় এ ভাবেই দাপিয়ে প্রচার করলেন মৌসম।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

মহিষবাথানি শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৪৮
Share:

প্রচার: মালদহের যাত্রাডাঙায় মৌসমের রোড-শো। ছবি: তথাগত সেনশর্মা

সকাল সাড়ে ন’টাতে যেন মনে হচ্ছিল দুপুর বারোটা বেজে গেছে। তার মধ্যেই বলরামপুর মোড়ে জড়ো হয়ে গিয়েছিল কয়েকশো বাইক। ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে কতই না প্রচারের ঢক্কানিনাদ। কিন্তু তাতে কি? মাথায় হেলমেট নাই বা থাকল! দলের পতাকা দিয়ে মাথায় ফেট্টি বেঁধে তৈরি তাঁরা। ঠিক সাড়ে ন’টাতেই প্রার্থীও হাজির সেই বলরামপুর মোড়ে। উঠল স্লোগান। অটোয় বাঁধা মাইক নিয়ে কয়েকজন কর্মী বেরিয়ে পড়লেন আগে। শাড়ির আঁচল দিয়ে ঘোমটা টেনে হুডখোলা গাড়িতে চাপলেন উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বেনজির নুর। শুরু হল ভোট প্রচার। আগে প্রার্থীর হুডখোলা গাড়ি, পেছনে কয়েকশো বাইকের র‌্যালি।

Advertisement

হুডখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে কখনও তিনি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ালেন বা কখনও ঝুঁকে মেলালেন হাত। রবিবার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর মোড় থেকে গাহুলাডারা হয়ে নবাবগঞ্জ মোড় পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার রাস্তায় এ ভাবেই দাপিয়ে প্রচার করলেন মৌসম।

সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই মহিষবাথানির পরে চড়া রোদেও কোথাও না জিরিয়ে ফের একই ভাবে দুপুরেই বাইক বাহিনী নিয়ে তাঁর প্রচার চলল পুরাতন মালদহ ব্লকেরই পাশের গ্রাম পঞ্চায়েত ভাবুক জুড়ে। সেখানে আদিবাসী অধ্যুষিত বাসিন্দাদের মাঝে গিয়েও একই ভাবে হাসিমুখে তিনি ভোট চাইলেন হুডখোলা গাড়িতে চেপে। বিকেল চারটে নাগাদ প্রচারের সাময়িক বিরতি হল আটমাইলে। সেখানে বাড়ি থেকে আনা পরোটা ও তরকারি দিয়ে মৌসম সারলেন দুপুরের আহার। সাড়ে চারটেতে ফের প্রচার শুরু ব্লকেরই যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের লালমাটির রাস্তায়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিকে বাইক বাহিনী নিয়ে মৌসমের দাপিয়ে প্রচার নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। কংগ্রেস ও বিজেপি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তথা মালদহের বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, “কয়েকশো বাইক বাহিনী নিয়ে মিছিল করে তৃণমূল মহিষবাথানি এলাকায় একটা সন্ত্রাসের বাতাবরণ করে তুলতে চাইছে। এটা নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙার সামিল। আমরা কমিশনের কাছে নালিশ জানাব”। বিজেপির জেলা সম্পাদক গোপাল সাহা বলেন, “কয়েকশো বাইক নিয়ে র‌্যালি করে তৃণমূল নির্বাচনী আচরণ বিধি ভেঙেছে। পুলিশের সামনেই মাথায় হেলমেট ছাড়া বাইক বাহিনী দাপাল, কিন্তু নির্বিকার পুলিশ।” তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “আমরা কাউকে বাইক নিয়ে আসতে বলিনি। কর্মীরা নিজেরাই বাইক নিয়ে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে এসে প্রচার করেছেন।’’ পুলিশ জানায়, কী হয়েছে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন