লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কথা বলার ভাষা নেই, প্রতিক্রিয়া শঙ্খের, গেরুয়া নৈরাজ্যকে ডেকে আনছেন মমতাই, বললেন অসীম

ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, নকশাল নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায়, এবং নেতাজি পরিবারের সদস্যা এবং প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসু সহ আরও অনেকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ১১:১১
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

জন্মের দ্বিশতবর্ষের ঠিক আগেই ভোটের তাণ্ডবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দেওয়ার ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্বজ্জনেরা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, নকশাল নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায়, এবং নেতাজি পরিবারের সদস্যা এবং প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসু সহ আরও অনেকে।

Advertisement

“কথা বলবার কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। অধঃপতনের আর কোন স্তর পর্যন্ত দেখতে হবে, জানি না’’—এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ।

সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা খুবই লজ্জাজনক ঘটনা। কলেজে ভাঙচুরও হয়েছে দেখলাম। এটা কী ধরনের ব্যাপার হল? কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। যে-ই ভেঙে থাকুক, তা আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি বিষয়।”

Advertisement

আরও পড়ুন: আমার থেকে ভয়ঙ্কর কেউ হবে না, তোমাদের ঔদ্ধত্য খর্ব করবই: মমতা

ঘটনার কড়া নিন্দা করে কৃষ্ণা বসুর প্রতিক্রিয়া, “বিদ্যাসাগর মেয়েদের জন্য যা করেছেন, তার জন্য প্রতিদিন সকালে উঠে তাঁকে স্মরণ করা উচিত। তাঁর মূর্তি ভাঙা হল! তবে আমি মনে করি, এতে বিদ্যাসাগরের কিছু যায় আসে না। এ ভাবে মনীষীদের সম্মানহানি করা যায় না।”

প্রাক্তন নকশাল নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়েই নৈরাজ্যের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এ রাজ্যে আইনের শাসন চলছে না, চলছে মর্জির শাসন। তৃণমূল নেত্রী নিজে বিজেপির এই নৈরাজ্যকে ডেকে আনছেন।”

গত কাল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শো ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যেই বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুধু বিদ্যাসাগরের মূর্তিই নয়, কলেজের গেট, আসবাব ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি পুরো এলাকা তছনছ করার জন্যও অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।

আরও পড়ুন: ভোটের তাণ্ডবে ভাঙা হল বিদ্যাসাগর-মূর্তি, অমিত শাহের শোয়ে ধুন্ধুমার

গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। আগুন জ্বালানো হয়েছে। এটা ওঁর ২০০ বছর। কোনও রাজনৈতিক দলের এ-রকম হাঙ্গামা কখনও দেখিনি। বিহার-রাজস্থান থেকে গুন্ডা এনে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। নিন্দার ভাষা নেই। আমি লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। বাংলার মানুষ হয়ে আমরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে সম্মান দিতে পারি না বিজেপির গুন্ডাদের জন্য।’’বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, শাহের রোড শোয়ে ইট ছুড়ে আক্রমণ চালিয়ে প্রথমে গোলমাল বাধিয়েছে তৃণমূলই। এমনকি রোড শো শুরুর আগেই পোস্টার-ফেস্টুন খুলে দিয়ে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছিল শাসক দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement