নিজের নিরাপত্তার খরচ দিতে হবে নেতা-মন্ত্রীদের

নবান্নের খবর, কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পরে জ়েড প্লাস নিরাপত্তা প্রাপকদের সব খরচ সরকার বহন করবে। কিন্তু জ়েড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা যাঁরা পান, তাঁদের খরচ সংশ্লিষ্ট নেতা-মন্ত্রীদেরই বহন করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০২:৫২
Share:

ভোটের বাজারে জবরদস্ত নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতেই পারেন নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু সরকার তার খরচ বহন করবে না। খরচ দিতে হবে নেতা-মন্ত্রীদেরই। এই মর্মে সব রাজ্যে নির্দেশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জেলাগুলিতে তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা।

Advertisement

নবান্নের খবর, কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পরে জ়েড প্লাস নিরাপত্তা প্রাপকদের সব খরচ সরকার বহন করবে। কিন্তু জ়েড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা যাঁরা পান, তাঁদের খরচ সংশ্লিষ্ট নেতা-মন্ত্রীদেরই বহন করতে হবে। স্বরাষ্ট্র দফতর সেই খরচ নেতা-মন্ত্রীদের কাছ থেকে নিয়ে নেবে। স্বরাষ্ট্রকর্তারা জানান, ১১ মার্চ নির্বাচনী বিধি চালু হয়েছে। তা বলবৎ থাকবে ২৩ মে পর্যন্ত। এই সময়ে নিজেদের নিরাপত্তার যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট নেতাদেরই।

নবান্নের এক কর্তা জানান, রাজ্যে জ়েড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের নিরাপত্তার সমস্ত খরচ রাজ্যই বহন করতে পারবে। কিন্তু জ়েড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা যাঁরা পান, এ বার ওই খরচ মিটিয়ে দিতে হবে তাঁদেরই। স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শুভেন্দু অধিকারী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, স্বপন দেবনাথ, অনুব্রত মণ্ডলেরা জ়েড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। সামনে পাইলট পিছনে এসকর্টের পাশাপাশি সর্বক্ষণের কমপক্ষে চার জন দেহরক্ষী পান ওই নেতারা। তাঁদের বাড়িতেও ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। জ়েড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাওয়া নেতা-মন্ত্রীর কনভয়ে একেবারে সামনে থাকে লিড মোবাইল ভেহিক্‌ল। তাঁদের প্রতিদিনের নিরাপত্তায় অন্তত ২০ জন নিরাপত্তারক্ষী ও দেহরক্ষী থাকেন। ফলে খরচ কম নয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নবান্নের কর্তাদের একাংশ জানান, এই খরচ কত, তা ঠিক করবে পুলিশ। মূলত পুলিশকর্মীদের এক দিনের বেতন, ভাতা, গাড়ির খরচ, অস্ত্র রাখার ভাড়া নিয়ে জ়েড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রাপকদের গড় খরচ হিসেব করা হবে।

যাঁরা এক্স, বা ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান, তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলেনি কমিশন। রাজ্যে ভোটের বাজারে এমন নিরাপত্তা প্রাপকের সংখ্যা অন্তত ৫০০। কমিশন নির্দেশ দিলে তাঁদের কাছ থেকেও সশস্ত্র পুলিশের খরচ নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement