নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেছেন মমতা। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো নিয়ে আপত্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা আমাকে জানিয়েই আসছে। এ নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’
নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেছেন মমতা। তবে প্রায় একমাস আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনকে তাঁরা যে আমল দিচ্ছেন না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের সময় আসে, ভোট শেষে চলে যায়। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বাহিনী এল, তৃণমূল জিতেছে। আরও দুটি উপনির্বাচন হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে মানুষ আমাদেরই ভোট দিয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নির্বাচন নিয়ে বিজেপির ভূমিকার বিরুদ্ধে এ দিন অবশ্য অবস্থান শুরু করেছে মহিলা তৃণমূল। ৪৮ ঘণ্টার এই কর্মসূচিতে ধর্মতলায় অবস্থানে যোগ দেন সংগঠনের সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা। চন্দ্রিমার অভিযোগ, ‘‘রাজ্যের সব বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি করে বিজেপি রাজ্যবাসীকে অসম্মান করেছে। রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে অস্বীকার করেছে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা দাবি করেছি, তাতেই ধর্নায় বসেছে। কমিশন তা মেনে নিলে তো ভোট বয়কট করবে। ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এই মুখ্যমন্ত্রীই যে চিঠি দিয়েছিলেন, তার কপি আমাদের কাছে আছে।’’