—ফাইল চিত্র।
বাংলার উপহার ‘সৌজন্য’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের বিরোধিতায় ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ‘সৌজন্য’ বিতর্কে কার্যত মমতারই পাশে দাঁড়ালেন।
তাঁকে প্রতি বছর মমতা কুর্তার পাশাপাশি বাংলার মিষ্টি পাঠান বলে একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বলেছেন মোদী। এই সাক্ষাৎকারটি বুধবার প্রকাশ্যে আসার পরেই মমতা শ্রীরামপুরের সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘পুজোর সময় আমরা উপহার দিই। বাড়িতে কেউ এলে রসগোল্লা দেব। কিন্তু ভোট দেব না।’’ ২৪ ঘণ্টা পরে বৃহস্পতিবার ‘উপহার’ প্রসঙ্গে মমতা সিউড়ির সভায় বলেন, ‘‘মোদী বলেছে আমি ওঁকে কুর্তা পাঠাই। এটা আমাদের সংস্কৃতি। বিশ্ববাংলা আমাদের ব্র্যান্ড। রাজ্যের তাঁতিরা আমায় তৈরি করে দেন। শুধু মোদী না, গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তিকেই পাঠাই। ওঁরা বলে দেন। আমরা বলি না। এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়।’’
কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে দেওয়া উপহারের কথা ভোটের ভরা মরসুমে মোদী প্রকাশ করায় মমতা ‘অসন্তুষ্ট’। তাঁর কথায়, ‘‘আম হলে আমরা সকলের কাছে পাঠাই। পয়লা বৈশাখে মিষ্টি পাঠাই। ওঁরা সৌজন্য আর রাজনীতির পার্থক্য বোঝেন না। এ ভাবে রাজনীতি করে, বাজারে মার্কেটিং করে ভাবমূর্তি তৈরি হয় না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মমতার সৌজন্যের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু এ দিনই সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কাজই করেছেন। তিনি আমাদের অভিভাবক। আমি যখন অসুস্থ ছিলাম, তখনও উনি ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। রাজনীতি মানে তো শত্রুতা বা হিংসা নয়। মতাদর্শের লড়াই। তার জন্য সৌজন্য বিসর্জন দিতে হবে কেন?’’