—ফাইল চিত্র।
নির্বাচন পরবর্তী জোট সমীকরণ কোন পথে, সে বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে রাখতে বৃহস্পতিবার খড়গপুরে মিনিট দশেকের সংক্ষিপ্ত বৈঠক সারলেন মমতা-চন্দ্রবাবু।
বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করতে রাজ্যে এসেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। বৃহস্পতিবার তেলুগুভাষী অধ্যুষিত খড়গপুরে গিয়ে তেলুগু ভাষাতেই তিনি বলেন, ‘‘মমতার নেতৃত্বে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত হবে। তিনিই সকলকে সংগঠিত করছেন।’’ একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা— ‘‘আজ বাংলা যা ভাবে, কাল দেশ তা ভাববে। এবারের ভোটে সেই বাংলার গুরুত্ব অনেক।’’
বুধবারের প্রচারেও চন্দ্রবাবু মমতাকে ‘বাঘিনি’ বলেছিলেন। এ দিনের সভায় আরও এক ধাপ এগিয়ে তেলুগু দেশম পার্টি নেতা বলেন, ‘‘মমতা বাংলার বাঘই শুধু নয়। দেশের বাঘিনি। তাঁকে প্রাণশক্তি দিন। আরও উন্নয়ন হবে।’’ প্রচারের ফাঁকেই এ দিন খড়গপুরে সভা মঞ্চের পিছনে অস্থায়ী ঘরে বৈঠক করেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ছিলেন তেলুগু দেশম পার্টির আর এক নেতা রামমোহন রাও। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ। তবে সূত্রের খবর, অবিজেপি জোটের ন্যূনতম কর্মসূচি-সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে এ দিন তাঁদের আলোচনা হয়েছে। বস্তুত, বুধবার বাংলায় আসার আগে দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে যান চন্দ্রবাবু। সেখানে তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেন, ১৯ তারিখ ভোট শেষ হওয়ার দু’দিনের মধ্যে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসুক। এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখাও করে আসুক। যাতে বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেলেও রাষ্ট্রপতি তাদের ডেকে নিতে না পারেন। খবর, কংগ্রেস বিষয়টিকে উড়িয়ে দেয়নি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মমতা-মায়াবতী অবশ্য তড়িঘড়ি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছুক নন বলেই ওয়াকিবহাল মহলের খবর। তবে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির বিষয়ে মমতা আশাবাদী।