প্রতীকী চিত্র।
রাজ্য সরকার কর্মীদের সপ্তম তো নয়ই এমনকি ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ীও টাকা দিচ্ছে না। শনিবার বালুরঘাটে ভোটপ্রচারে এসে অভিযোগ তোলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘দিদির কাছে গুন্ডাদের দেওয়ার টাকা আছে। কিন্তু ডিএ (মহার্ঘ্য ভাতা) দেওয়ার টাকা নেই। কেন্দ্রীয় সরকার সপ্তম বেতন কমিশন চালু করেছে। বিজেপি ত্রিপুরায় এসে সপ্তম বেতন কমিশন চালু করেছে। দিদি এখনও ষষ্ঠ বেতন কমিশনই চালু করতে পারেননি।’’
সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির মধ্যে এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী এ দিন বলেন, ‘‘সরকারি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা ৪৭টি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। ঠিক সময়েই মুখ্যমন্ত্রী কর্মীদের প্রাপ্য মিটিয়ে দেবেন। মোদী রাজনীতি করার জন্যই এ কথা বলেছেন।’’
সিপিএম প্রভাবিত কো-অর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহেরও বক্তব্য, মোদী ‘সস্তা’ ভোটের রাজনীতি করেছেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘প্রধামমন্ত্রী ডি এ নিয়ে যা বলছেন তার কোনও প্রভাব ভোটে সরকারি কর্মীদের মধ্যে পড়বে না। বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার পর পরই নতুন পেনশন প্রকল্প চালু করেছে। কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে টাকা কাটা হচ্ছে। কিন্তু কোনও স্টেটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না।’’
যদিও কংগ্রেস প্রভাবিত কনফেডারেশন অব স্টেট গর্ভমেন্ট এমপ্লয়িজের রাজ্য সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় কো-অর্ডিনেশন কমিটির বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি কর্মীদের উপর প্রধামন্ত্রীর ডিএ নিয়ে মন্তব্যের প্রভাব ভোটে পড়বেই। কারণ, সরকারি কর্মীরা বকেয়া ডিএ না পাওয়ায় এবং ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু না হওয়ায় প্রচুর টাকা লোকসান হচ্ছে।’’