কলকাতা বিমানবন্দরে ১৫ মার্চ গভীর রাতে (অর্থাৎ ১৬ মার্চ ভোরে) সোনা বাজেয়াপ্ত করার তথ্যপ্রমাণ নেই বলে দিল্লিকে জানানো হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর। আবার ‘সোনা-কাণ্ডে’ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলল বামেরা।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১৫ মার্চ মধ্যরাতের পরে ব্যাঙ্কক থেকে ফেরার সময়ে সুটকেসে ‘বিধিবহির্ভূত’ সোনা নিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেছে শুল্ক দফতর। অভিষেক চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, সোনা পাওয়ার তথ্যপ্রমাণ দেখানো হোক।
বিভিন্ন রাজ্যের সিইও দফতরগুলি কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে নানা পদ্ধতিতে নজরদারি করে। সেই পদ্ধতি মেনে তৈরি রিপোর্টে গত ১৫ মার্চ গভীর রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে সোনা বাজেয়াপ্তের উল্লেখ নেই। সোমবার পৃথক ভাবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছ থেকেও রিপোর্ট চেয়েছিল সিইও দফতর। সেই রিপোর্টেও সোনা বাজেয়াপ্তের কোনও খবর নেই বলে সূত্রের দাবি। এ বিষয়ে সোমবারই রাজ্যের সিইও দফতরের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল কমিশন। রিপোর্ট নির্বাচন সদনে পাঠিয়েছে সিইও দফতর।
তবে কি তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল, তা সম্পূর্ণ খারিজ হল? কমিশন সূত্রের বক্তব্য, একটি রাজ্যের সিইও দফতর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কিংবা শুল্ক দফতরের কাছ থেকে সরাসরি রিপোর্ট চাইতে পারে না। পারে কমিশন নিজেই। এ ক্ষেত্রে কমিশন কী করবে, তা নিয়ে এখনই বলার জায়গা তৈরি হয়নি।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার কাছে সিপিএম নেতা নীলোৎপল বসু ও সিপিআই নেতা ডি রাজা মঙ্গলবার অভিযোগ জানান, কোচবিহার ও ডায়মন্ড হারবারে নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে যাদের সরানোর কথা ছিল, তাদের সরানো হয়নি। কমিশনারকে তাঁরা জানান, সাংসদ ও ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী অভিষেকের স্ত্রী যে সোনা ও বিদেশি মুদ্রা নিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকতে পারে। নিরপেক্ষ তদন্ত করুক কমিশন। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য কমিশনে অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যন্ত এলাকায় যাচ্ছে না।
‘সোনা-কাণ্ডে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছিল বিজেপি। নবান্ন থেকে বেরোনোর সময়ে এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘‘এটা আমার ভাবার বিষয় নয়।’’