—ফাইল চিত্র।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো রিপোর্ট বাস্তবসম্মত হতে হবে। তাতে কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায় সংশ্লিষ্ট অফিসারের উপরেই বর্তাবে। শুক্রবার জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) বৈঠকে এমন কথাই জানাল কমিশন।
আজ, শনিবার রাজ্যে এসে রাজনৈতিক দল, জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের। সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব মলয় দে, স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য এবং ডিজি বীরেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর। সেই বৈঠকের আগে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর প্রশাসন-পুলিশের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেন সিইও আরিজ আফতাব-সহ অন্য কর্তারা। সিইও দফতরে ছিলেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। সূত্রের খবর, বৈঠকের বেশিরভাগ সময়টাই কেটেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্টের বিষয়ে। সেখানে বলা হয়েছে, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের রিপোর্টের মধ্যে যেন কোনও ফারাক না থাকে। রিপোর্টে ফারাক থাকলে যিনি রিপোর্ট তৈরি করবেন, তাঁকেই দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি, সমস্ত রিপোর্টের ভিত্তি থাকা প্রয়োজন। কারণ, তৃণমূল স্তরের পরিস্থিতির সঙ্গে রিপোর্টের ফারাক ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে। কয়েকটি জেলা, পুলিশ জেলা এবং পুলিশ কমিশনারেট এলাকার গোলমালপ্রবণ এলাকা এবং হাঙ্গামাকারীর সংখ্যা নিয়ে নিঃসন্দেহ হতে পারেনি কমিশন।
তা ছাড়া, গ্রেফতারি পরোয়না কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় কী কী সমস্যা হচ্ছে— তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ২০১৪-র লোকসভা ভোট এবং ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে সংঘর্ষের ঘটনাগুলির বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়েও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।