—ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী পরিস্থিতি বুঝতে প্রশাসন ও পুলিশের বিভিন্ন কর্তা, সর্বোপরি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক তো করছেনই। এ বার নিজের চোখেও ভোট দেখতে চাইছেন এ বারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সরেজমিন পরিদর্শনের প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারেন তিনি।
প্রথম তিন দফায় পশ্চিমবঙ্গের যে-সব কেন্দ্রে ভোট হবে, রাজ্যে আসার কয়েক দিনের মধ্যেই ভিডিয়ো-সম্মেলন মারফত সেখানকার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিবেক। আবার শিলিগুড়িতে গিয়ে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এ বার ভোটের দিন সরাসরি সেখানে হাজির থেকে পরিস্থিতি দেখতে চাইছেন তিনি।
আগামী বৃহস্পতিবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের মোট ৩৮৪৪টি বুথে ৩৪,৫৪,২৭৪ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কোচবিহার কেন্দ্রে লড়ছেন ১১ জন প্রার্থী। আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী সাত জন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই দুই কেন্দ্রে যুযুধান দুই প্রতিপক্ষই শক্তিশালী। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ফলে ওই দু’টি কেন্দ্রেই নির্বাচন পর্ব ঘটনাবহুল হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বড় ঘটনা ঘটলে দ্রুত যাতে সরাসরি ঘটনাস্থলে যাওয়া যায়, সেই জন্যই কপ্টার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিবেক।
আলিপুরদুয়ারে পুলিশ-পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছেন বিনোদ কুমার। কোচবিহারের জন্য দু’জনের নাম পাঠিয়েছে কমিশন। তাঁরা হলেন অলোককুমার রায় এবং কে জগদেশন। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশ-পর্যবেক্ষকদের নিয়ে তা দেখতে যেতে পারেন বিবেক। যাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়া যায়, সেই জন্য কপ্টারের ব্যবস্থা রাখতে চাইছে কমিশন। সেই সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারির কাজে কপ্টার ব্যবহার করা হতে পারে। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর কমিশন। তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আজ, সোমবার মুর্শিদাবাদে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কথা বিবেকের। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন তিনি। কমিশন সূত্রের খবর, সম্প্রতি চার পুলিশকর্তার বদলির ক্ষেত্রেও গুরুত্ব পেয়েছে বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষকের রিপোর্ট। মুর্শিদাবাদের জেলা প্রশাসনের কয়েক জন কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। তবে বিবেক জানিয়েছেন, শুধু অভিযোগ করলেই হবে না, তার সমর্থনে যথেষ্ট প্রমাণ দিতে হবে।