কমিশনের তৎপরতা তুঙ্গে, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট খুব শীঘ্রই

এ বারের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিটি  ইভিএম মেশিনের সঙ্গেই থাকছে ভিভি প্যাট। ফলে যিনি ভোট দিচ্ছেন, তিনি দেখে নিতে পারবেন, সঠিক জায়গায় ভোট পড়ল কি না। সুষ্ঠু নির্বাচন এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে।

Advertisement

সোমনাথ মণ্ডল

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ২০:৫৩
Share:

নির্বাচন কমিশনে ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে।

প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। তৎপরতা তুঙ্গে। খুব শীঘ্রই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। দিল্লির নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কার্যালয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শুরু হয়েছে। নিরাপত্তার দিকটি সব থেকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি রাজ্যে কতগুলি স্পর্শকাতর বুথে রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া শেষের দিকে। সেই তালিকা অনুযায়ী কোন রাজ্যে কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার, তা ঠিক করা হবে।

Advertisement

এ বারের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিটি ইভিএম মেশিনের সঙ্গেই থাকছে ভিভি প্যাট। ফলে যিনি ভোট দিচ্ছেন, তিনি দেখে নিতে পারবেন, সঠিক জায়গায় ভোট পড়ল কি না। সুষ্ঠু নির্বাচন এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে।

রাজনৈতিক দলগুলি প্রায়শই অভিযোগ করে থাকে, ইভিএমে কারচুপি হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও রকম ভাবেই ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব নয়। ভোটারদের মনেও যাতে কোনও রকম সন্দেহের অবকাশ না থাকে, সে কারণেই এ বছর সমস্ত ইভিএমের সঙ্গে ভিভি প্যাট রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

আরও পড়ুন: দু’-তিন সেকেন্ড সময় পেলেই অভিনন্দন ঢুকে যেতেন ভারতীয় আকাশ সীমায়, বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

কমিশন সূত্রে খবর, এই সপ্তাহের শেষের দিকেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। শেষ মুহূর্তে কোনও সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হলে, আগামী সপ্তাহের প্রথমার্ধের বেশি দেরি করতে চাইছে না কমিশন।

যদিও বিরোধীদের একাংশের মত, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা রয়েছে। তার আগে ভোটের নির্ঘণ্ট ও ঘোষণার সম্ভাবনা খুবই কম। এখন দেখার, কমিশন কবে ঘোষণা করে।

পশ্চিমবঙ্গে কমবেশি প্রায় ৮০ হাজার বুথ রয়েছে। মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৬৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৭ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৬৩। আর মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯৭৯। এ বার ২০ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩০৩ জন নতুন ভোটারের নাম উঠেছে তালিকায়। বাদ গিয়েছে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩০ জনের। ভোটার তালিকায় উল্লেখ করার মতো দিক হল মহিলা ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি। লিঙ্গ অনুপাতেও মহিলাদের সংখ্যাবৃদ্ধি হয়েছে। নতুন ভোটার ২.৫১ শতাংশ।

ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির খবর আসতে থাকে। ভোটের দিনও বিভিন্ন জায়গায় গোলমাল হয়। এ সব মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন এ বার একটি অ্যাপ এনেছে। নাম ‘সি-ভিজিল’।

এই অ্যাপের মাধ্যমে কেউ তথ্যপ্রমাণ দিলে, ১০০ মিনিটের মধ্যে সেই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকেই। আর এই সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন