‘ঘরের খেয়ে প্রচারে নামুন’, বিলি টিফিন বাক্স

সকালে বেরিয়ে দুপুরের খাবারটা যাতে দলের নেতা-কর্মীরা নিজেরাই বাড়ি থেকে নিয়ে বেরোতে পারেন, সে জন্য দলের মণ্ডল সভাপতি ও জেলাস্তরের কার্যকর্তাদের হাতে টিফিন বক্স তুলে দেওয়া হল। 

Advertisement

শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল 

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩৩
Share:

বাইরের খাবার খেতে মানা করে টিফিন বক্স দিচ্ছেন বিজেপি জেলা সভাপতি। নিজস্ব চিত্র

বাঁকুড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার প্রচারে নামার জন্য কর্মীদের কোমরে গামছা বেঁধে দিয়েছেন। আর পুরুলিয়ার বিজেপি নেতারা যাতে বাইরের খাবার খেয়ে রোগে না পড়েন, সে জন্য তাঁদের হাতে টিফিন বক্স ধরিয়ে দিলেন দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটে সাফল্য পাওয়ায় পুরুলিয়া কেন্দ্রকে এ বার পাখির চোখ করেছে বিজেপি। প্রার্থী ঘোষণা না হলেও প্রচারে নেমে পড়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। সকালে বেরিয়ে দুপুরের খাবারটা যাতে দলের নেতা-কর্মীরা নিজেরাই বাড়ি থেকে নিয়ে বেরোতে পারেন, সে জন্য দলের মণ্ডল সভাপতি ও জেলাস্তরের কার্যকর্তাদের হাতে টিফিন বক্স তুলে দেওয়া হল।

শনিবার পুরুলিয়া শহরে দুলমিতে দলের লোকসভা নির্বাচনী কার্যালয়ে ৪৭টি মণ্ডলের সভাপতি, জেলার কিছু কার্যকর্তা ও বিধানসভার বিস্তারক-সহ মোট ১০০ জনকে টিফিন বক্স দেওয়া হয়। দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে ছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বি পি সিংহ দেও, পুরুলিয়া লোকসভার আহ্বায়ক নরহরি মাহাতো প্রমুখ।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ইতিমধ্যেই মণ্ডল স্তর থেকে শুরু করে দলের জেলা কার্যকর্তাদের কার্যত আদা-জল খেয়ে মাঠে নেমে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বিদ্যাসাগরবাবু বলেন, ‘‘আমাদের সমস্ত নেতা-কর্মী নিবিড় প্রচারে নেমে পড়েছেন। প্রচারে যাতে একজন কর্মীও অসুস্থ না হন, সে দিকে নজর রয়েছে। তাই বাড়ির খাবার নিয়ে বার হতে বলা হচ্ছে তাঁদের। দলের প্রথম সারির নেতা-কর্মীদের হাতে আগে টিফিন বক্স দেওয়া হল। পরে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে প্রতিটি মণ্ডলে।’’

শনিবার টিফিন বক্স দিয়ে বিদ্যাসাগরবাবু তাঁদের বলেন, ‘‘এ বার থেকে আপনারা সকালেই প্রচারে বেরিয়ে পড়বেন। বাড়ি থেকে বার হওয়ার সময় টিফিন কৌটোয় চিঁড়ে, মুড়ি, ছাতু, রুটি, ভাত ঘর থেকে যা পারবেন, ভরে নিয়ে যান। দুপুরে সেই খাবার খেয়েই প্রচার সারবেন। দুপুরে খাবার খেতে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করা চলবে না।”

দলের এক নেতা কমলাকান্ত হাঁসদা বলেন, ‘‘ভরা গরমের মধ্যে প্রচারে শরীর সুস্থ রাখাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বাইরের দোকানের খাবার খেলে অনেক সময় শরীরে সহ্য হয় না। অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা ষোলোআনা থাকে। তাতে প্রচারে ঘাটতি পরে, ক্ষতি হয় দলের। তাই ঘরের খাবার খেলে সেই ঝুঁকি অনেকটাই কমে।’’

জেলার বিজেপি নেতাদের মধ্যে অসীম চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার বাউরি, কিষন রাজোয়াড় বলেন, ‘‘আমাদের অনেকেরই প্রতিদিন বাইরের খাবার কিনে খাওয়ার মত আর্থিক সঙ্গতিও নেই। ঘরের খাবার নিয়ে বেরোলে এক দিকে যেমন সময় বাঁচবে, তেমনই আর্থিক দিক থেকেও সুবিধা হবে।”

যদিও এ সব স্রেফ নাটক বলে কটাক্ষ করছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো। তাঁর দাবি, ‘‘জনসমর্থন নেই। তাই নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ধরনের নাটক শুরু করেছে বিজেপি। টিফিন বক্স বিলিও আদতে তেমনই এক নাটক। আমাদের কর্মীরা বছরভর বাসিন্দাদের পাশে থাকেন। তাই নাটকের প্রয়োজন হয় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন