—ফাইল চিত্র।
রাজ্য পুলিশের এডিজি সিআইডি-র পদ থেকে সরিয়ে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হল রাজীব কুমারকে। তাঁকে ‘নজরবন্দি’ করে রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। তাঁদের দাবি, আগামী ১৯ মে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার নির্বাচনে যাতে রাজীব কোনও ধরনের ভূমিকা নিতে না পারেন, তার জন্যই এই ‘নজিরবিহীন’ পদক্ষেপ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন রাজীব কুমারকে কলকাতা ছেড়ে আজ, বৃহস্পতিবার সকাল দশটার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীবকে রাজ্যের পদ থেকে অব্যাহতি দেবেন। তার পরে রাজীব ইস্তফা দিয়ে দিল্লি যাবেন।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে ও রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণ দেখিয়ে সরাসরি নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত জেলার এসপি বা পুলিশ কমিশনারের মতো অফিসারকে বদলি করার উদাহরণ রয়েছে। তাঁদের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ পদে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের সঙ্গে রাজীবের সরাসরি কোনও সংশ্রব নেই। তা সত্ত্বেও তাঁকে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সারদা তদন্তে সিবিআইয়ের সঙ্গে রাজীবের সংঘাত সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। সারদার নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ভাবে তাঁকে দিল্লিতে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পিছনে সেটাও একটি কারণ হতে পারে বলে প্রশাসনের একাংশের আশঙ্কা।
রাজ্য পুলিশ কর্তাদের মতে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরে গেলেও তিনি এখনও মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে তাঁর ‘অভিজ্ঞতা’-কে কাজে লাগানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করতে পারে কমিশন। দ্বিতীয়ত, রাজ্যে বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে হিসেব বহির্ভূত টাকা বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রেও রাজীব অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। রাজীবের এই দিল্লি যাত্রার পিছনে সেটাও বড় কারণ বলে মনে করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।