সৎপাল মহারাজ।
পাহাড়-সমতল জুড়ে ভক্তকুল রয়েছে। তাই তাঁকে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু জেতা সম্পর্কে একশো শতাংশ নিশ্চিত না হয়ে দার্জিলিং এসে ভোটে দাঁড়তে চাননি ধর্মগুরু, হিমাচল প্রদেশের সৎপাল মহারাজ। শেষ অবধি জিএনএলএফ, বিমল গুরুংদের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছেন দিল্লিনিবাসী শিল্পপতি রাজু বিস্তা। দলীয় সূত্রের খবর, এ বার বিস্তার সমর্থনে দার্জিলিঙে সৎপাল মহারাজকে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যে রাজ্য থেকে দিল্লির কেন্দ্রীয় দফতরে যোগাযোগ করা হয়েছে। ধর্মগুরুর পাশাপাশি প্রচারে আসার কথা কর্নেল ভিকে সিংহ, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথেরও।
নরেন্দ্র মোদীর পরে দার্জিলিঙে এরাই বিজেপির তারকা। সেই সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতানেত্রীরাও দফায় দফায় প্রচারে আসবেন। দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আসছেন। তার পরে প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন। প্রচারের প্রথম দফায় এর থেকে বেশি কী হতে পারে। দ্বিতীয় দফায় প্রচারে, সৎপাল মহারাজ, যোগী আদিত্যনাথদের নাম রয়েছে। কলকাতা, দিল্লি থেকে আলোচনা চলছে। প্রচারসূচি চূড়ান্ত হলে আমরা তা ঘোষণা করে দেব।’’
দলীয় সূত্রের খবর, রাজু বিস্তা প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই বিজেপি দার্জিলিং লোকসভা আসনটি জিততে মরিয়া। সরসারি দলের তরফে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে যেমন প্রচার চালানো হচ্ছে। তেমনই, দিল্লি থেকে এসে বসে থাকা এক কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশে বিশেষ কিছু পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। যেমন, সমস্ত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রচারের রূপরেখা তৈরি করতে বিশেষজ্ঞ দল এসেছে।
তেমনই, দলের সঙ্গে সম্পর্কিত ধর্মগুরুদেরও প্রচারে সক্রিয় রাখার কাজ চলছে। তারই অঙ্গ হিসাবে সৎপাল মহারাজকে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন দলের নেতারা। তাঁদের যুক্তি, গত দুই দশক ধরে দার্জিলিং পাহাড়, সিকিম এবং সমতলে মহারাজের বড় অংশের ভক্তকুল রয়েছে। এরা আবার সকালেই যে বিজেপি সমর্থক তা নন। তবে হিন্দু ধর্মগুরুর দেখানো পথে চলেন। গত বছর পরপর দুই দফায় এ অঞ্চলে সৎপাল মহারাজ দু’টি ধর্মীয় সভা করেছিলেন। সেখানে কয়েক হাজার মানুষ পরপর অংশ নেন। বিভিন্ন বাণী, ধর্মকথা শুনতে সভাগুলিতে যান সাধারণ মানুষ। তাঁদেরই পদ্মফুলের দিকে আনার জন্য মহারাজকে শিলিগুড়িতে আনতে উদ্যোগী হয়েছে দল। সৎপাল মহারাজ উদ্যোগী হলে একটা বড় অংশের সমর্থনের নিশ্চিত। এটাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দলের নেতাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ‘কসমোপলিটন’ সংস্কৃতির শহরের হিন্দু ভাবাবেগকে কাজে লাগাতে যোগী আদিত্যনাথকে আনার কথা বলা হয়েছে। তিনি অনেকের সমর্থন বিস্তা পাবেন, তা ধরে নেওয়াই যায়।