সবার নজরে কৃষ্ণনগর

জোট না কি জোট নয়, তুমুল জল্পনা

কৃষ্ণনগর লোকসভা নিয়ে একাধিক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৩:৫০
Share:

দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।

এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে কাটেনি জোট জটিলতা। বরং বলা যেতে পারে, শনিবার সেই জটিলতা আরও বেড়েছে। আজ সোমবার, বাকি আসনে বামফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষণা করার কথা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কংগ্রেসের সঙ্গে কৃষ্ণনগরে আদৌ কোনও জোট হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতেতে দাঁড়িয়ে আবার প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রেখে সিপিএম নিজেদের প্রতীকে দেওয়াল লেখা শুরু করে দিয়েছে। এবং নিজেদের প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখন শুরু করেছে সিপিআই(এমএল) লিবারেশন। তারা যে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে প্রার্থী দেবেনই সেটা দলের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতে কৃষ্ণনগর লোকসভা নিয়ে একাধিক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এক, জোট হলে কংগ্রেসের প্রাথী দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। দুই, জোট না হলেও কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছে। তিন, সিপিএম নিজে প্রার্থী দিচ্ছে। চার, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া ভেস্তে গেলে সিপিএম বৃহত্তর বাম ঐক্যের স্বার্থে সিপিআই(এমএল)লিবারেশনকে আসন ছেড়ে দিচ্ছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তবে কৃষ্ণনগরের কেন্দ্রে এখন লাখ টাকার প্রশ্নটা হল, কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট আদৌ হবে কিনা। অনেকেই বলছেন, জোটের সম্ভাবনা বেশি বলেই বামফ্রন্টের প্রথম দফায় ঘোষিত ২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে কৃষ্ণনগরের নাম নেই। আবার যদি জোট না-হয় তা হলে কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছেই। এখনও পর্যন্ত দেওয়াল লেখা শুরু না-করলেও সেই মতো সাংগঠনিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তারা। চলছে কর্মীবৈঠক। শনিবার দুপুরে প্রদেশ দফতর থেকে ফোন করে জেলা সভাপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্যের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়। তিনি সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ দিকে, কৃষ্ণনগরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া ভেস্তে গেলে এই আসনটি লিবারেশনকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রেও সুবিমল সেনগুপ্তই প্রার্থী হতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। লিবারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য অবশ্য বলছেন, “এই মুহূর্তে আসন সমঝোতা নিয়ে আর কোনও কথা হয়নি। আমরা কৃষ্ণনগরে প্রার্থী দিচ্ছিই। বাকিটা বামপন্থী বিবেক ও চেতনার উপরে ছেড়ে দিলাম।” সেই সঙ্গে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

জেলা সিপিএমের একাংশ এখনও মনে করছেন, তাঁরাই প্রার্থী দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই নাম শোনা যাচ্ছে শান্তনু ঝা-র। সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়ার কথা ঠিক হলে সামসুল ইসলাম মোল্লার সম্ভাবনাই বেশি বলে সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলছেন,“আসন সমঝোতা বা প্রার্থী বাছাই সবটাই করছে রাজ্য নেতৃত্ব। আমরা সাংগঠনিক ভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন