বক্তা: হিড়বাঁধের নন্দা মাঠে কর্মিসভায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইকে মৃত জঙ্গিদের নাম ও পরিচয় কেন্দ্র প্রকাশ করতে পারলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বিজেপিকে ভোট দেবেন বলে মন্তব্য করলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার প্রচারে বেরিয়ে বিজেপিকে বিঁধতে বালাকোট ‘সার্জিকাল স্ট্রাইককে’ হাতিয়ার করেন সুব্রতবাবু। কর্মিসভায় তাঁর মন্তব্য, ‘‘মোদী যদি পাকিস্তানের জঙ্গিদের মৃতদেহ দেখাতে পারেন এবং তাদের পরিচয় জানাতে পারেন, তাহলে আপনাদেব বলব, বিজেপিকে ভোট দিন।’’ ভোট বৈতরণী পার করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি ‘যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা’ খেলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বঙ্গ রাজনীতির এই তারকা।
হীড়বাঁধ এবং ইঁদপুরের কিছু এলাকায় ভোটপ্রচার করেন সুব্রত। দু’টি সভাও করেন। সভা দু’টিতে প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন সুব্রতর আক্রমণের মূল লক্ষ্য। সেই আক্রমণে তাঁর হাতিয়ার ছিল কাশ্মীরে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলা পরবর্তী পরিস্থিতি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সুব্রতর তীর্ষক মন্তব্য, ‘‘ভোট এলেই যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা শুরু করে বিজেপি। এবার যা করল পাকিস্তালের সঙ্গে। এই খেলা ছাড়া ভোট বৈতরণী পার হওয়া মোদীর কাছে আর কোনও ইস্যু নেই। তাই পুলওয়ামায় ৪২ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন।’’ পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি ডেরায় বিমান হামলা (সার্জিকাল স্টাইক) চালিয়ে বায়ু সেনা বহু জঙ্গিকে খতম করেছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী। এই দিনের সভায় সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সুব্রতের তীর্যক মন্তব্য, ‘‘পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তানের ৩৫১ জন জঙ্গিকে মারা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মোদি। কিন্তু মৃতদের ছবি দেখানো হয়নি। তাদের পরিচয় দেশবাশী আজও জানেন না। মোদী যদি পাকিস্তানের জঙ্গিদের মৃতদেহ দেখাতে পারেন এবং তাদের পরিচয় জানাতে পারেন, তাহলে আপনাদেব বলব, বিজেপিকে ভোট দিন।’’
বাঁকুড়ার সিপিএম প্রার্থী অমিয় পাত্র এদিন জঙ্গলমহলের রাইপুর, মণ্ডলকুলি এবং মটগোদা-কেলেপাড়াতে প্রচার করেন। সিপিএম নেতা পার্থপ্রতিম মজুমদার জানিয়েছেন, বুথস্তরে জনসংযোগ বাড়োনের উপর তাঁরা জোর দিচ্ছেন। অমিয়বাবু বলেন, ‘‘বামপন্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনগুলিকেই প্রচারের অঙ্গ করা হচ্ছে।’’ বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার সমর্থনে এদিন যদুভট্ট মঞ্চে কর্মীসভা করে তৃণমূল। অযোধ্যা পাহাড়ে এদিন তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সন্ধারানি টুডু।