Lok Sabha Election 2019

ত্রিপুরা-জয়ী দেওধরকে বঙ্গে পাঠাল বিজেপি

বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক দেওধর দলের তরফে ত্রিপুরা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে। ত্রিপুরায় ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয়ের পিছনে তাঁর ভূমিকাই সব চেয়ে বেশি মনে রাখেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০১:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিজেপির ত্রিপুরা বিজয়ের অন্যতম কারিগর সুনীল দেওধরকে এ বার লোকসভা ভোটে বাংলার সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাতে পাঠিয়েছে দল। লোকসভা ভোটের প্রথম তিন দফা হয়ে যাওয়ার পরে কলকাতায় এসে ঘাঁটি গেড়েছেন দেওধর। এ রাজ্যে আর যে চার দফায় ৩২টি কেন্দ্রের ভোট হবে, সেগুলির জন্য দেওধরকে পাঠিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে তাঁর বিশেষ দায়িত্ব আছে কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ— এই দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিংহ এবং চন্দ্র বসুর ক্ষেত্রে। যাদবপুর এবং দমদমে অনুপম হাজরা এবং শমীক ভট্টাচার্য, এই দুই দলীয় প্রার্থীর প্রতিও বিশেষ নজর দিতে হবে দেওধরকে।

Advertisement

বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক দেওধর দলের তরফে ত্রিপুরা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে। ত্রিপুরায় ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয়ের পিছনে তাঁর ভূমিকাই সব চেয়ে বেশি মনে রাখেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। বাংলা এবং ত্রিপুরা, দু’টোই বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য। সেই কারণে ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের পর দেওধরকে এ রাজ্যে পাঠানোর দাবি উঠেছিল দলেরই অন্দরে। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তখন সেই দাবি মানেননি এবং দেওধরও ওই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁকেই পাঠানো হয়েছে এ রাজ্যে।

অন্ধ্রের লোকসভা ও বিধানসভা ভোট মিটে যাওয়ার পরে কলকাতায় এসে দেওধর বলেন, ‘‘তৃণমূলের জন্ম শহর থেকে। পাখির প্রাণভোমরা যেখানে, সেখানেই তাকে বধ করতে পারলে অন্যত্র সেই কাজটা সহজ হয়ে যায়! তাই কলকাতার দু’টো আসন, যাদবপুর ও দমদমে বাড়তি নজর দিতে হবে আমাকে। তবে অন্য ২৮টা আসনেও কাজ করব।’’ প্রথম বার এ রাজ্যে ভোটের দায়িত্বে এসে দলের পরিস্থিতি কী বুঝছেন? দেওধরের জবাব, ‘‘পদ্মফুলের প্রতি মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ দেখছি।’’ বঙ্গ বিজেপির স্থায়ী সাংগঠনিক দায়িত্ব কি নেবেন? দেওধর বলেন, ‘‘দল যা বলবে, তা-ই করব।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘নরেন্দ্র ভাই, অমিত ভাইকে এনে বাংলায় কিছু হচ্ছে না। এখন সুনীল ভাইকে এনেছে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অপপ্রচার আর রামের নামে বদনাম করে লাভ হচ্ছে না। এখন দেওধর নামে এক জনের কাঁধে ভরসা রাখতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু বাংলায় তো কোনও দেওধর ট্রফি চলছে না!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন