দাসপুরে সূর্যকান্ত । নিজস্ব চিত্র
প্রার্থী তালিকা এখনও প্রকাশ হয়নি। তবে লোকসভা ভোটের আগে সিপিএমের কর্মিসভা থেমে নেই। পূর্ব মেদিনীপুরের পরে এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মিসভা করে গেলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূযর্কান্ত মিশ্র।
সিপিএম সূত্রে খবর, আজ,শুক্রবার বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে বৃহস্পতিবার দাসপুর-২ ব্লকের সোনাখালি সংলগ্ন রানা তাজপুরে সিপিএমের কর্মিসভায় ঘাটাল, চন্দ্রকোনা ও দাসপুর— এই তিনটি বিধানসভা এলাকার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। লোকসভা ভোটের প্রচারে দল কী ভাবে এগোবে, কর্মীদের কী করণীয় এ সব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘প্রচারে মন দিন। মানুষ কী চাইছে সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।’’
বিজেপি-তৃণমূলকে রুখতে নিয়ম করে মানুষের সামনে দলের অবস্থান জানিয়ে প্রচারে গতি বাড়ানোর কথা বলেন তিনি। তবে সূযর্কান্ত এ দিন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেননি। শুধু দুই দলেরই জেতা আসনগুলিতে একে অপরকে সাহায্য করবেন বলে ফের জানিয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দাসপুরে এ দিনের কর্মিসভা ঘিরে বিতর্কও বেধেছে। তাজপুর প্রাথমিক স্কুল ঘেঁষা মাঠে মাইক বাজিয়ে সভা চলায় পঠন-পাঠনে সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ। রানা তাজপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুদীপ বেরা বলেন, “আমাদের সভার কথা কিছু জানানো হয়নি। স্কুল চলাকালীন সভা হওয়ায় সাময়িক সমস্যা তো হয়েছেই।” যদিও সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য স্বপন সাঁতরার দাবি, “স্কুল থেকে অনেকটাই দূরে সভা হয়েছে। পঠনপাঠনে কোনও সমস্যা হয়নি।”
এ দিন ডেবরার বালিচকেও কর্মিসভা করেন সূর্যকান্ত। হাজির ছিলেন ডেবরা, পিংলা ও সবংয়ের সিপিএম কর্মীরা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক আগাগোড়া বিজেপি ও তৃণমূলের সমালোচনায় সরব ছিলেন। তিনি বলেন, “তৃণমূলের যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে আমি বলতে পারি ১০টি আসন ওঁদের (বিজেপি) ওয়াক ওভার দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলে এটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। ওঁদের ওপরে ঝগড়া হবে, তলায় বোঝাপড়া হবে।”
নিজেদের অবস্থানও জানিয়ে দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের কোনও জোট হচ্ছে না। আসন বোঝাপড়া হচ্ছে। আমরা বলেছি কংগ্রেসের জেতা ৪টি আসনে আমরা প্রার্থী দেব না। আমাদের ২টি জেতা আসনে ওঁরাও প্রার্থী দেবে না। সমঝোতা হওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।”