কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে নির্বাচনের বাকি আর পাঁচ দিন। কিন্তু কোচবিহারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ‘সন্তুষ্ট’ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশনকে। শুক্রবার ভিডিয়ো-সম্মেলনে সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কমিশনের কর্তা।
১৮ এপ্রিল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জে ভোট। সেখানকার পর্যবেক্ষকদের নিয়ে ভিডিয়ো-সম্মেলন করেন উপ-নির্বাচন কমিশনার তথা বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুদীপ জৈন। ছিলেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত, ওই সব কেন্দ্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রের (সাধারণ, খরচ, পুলিশ) পর্যবেক্ষক। প্রথমে কোচবিহার-আলিপুরদুয়ারে বিনোদ কুমারকে পুলিশ-পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল কমিশন। এ দিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতর জানায়, ওই দুই কেন্দ্রে আলাদা পুলিশ-পর্যবেক্ষক থাকবেন। আলিপুরদুয়ারে বিনোদ কুমার ও কোচবিহারে অলোককুমার রায়। কোচবিহারের জন্য আইপিএস কে জগদীশনের নামও পাঠিয়েছে কমিশন। কিন্তু কোচবিহারের জন্যই কি দু’জন পুলিশ-পর্যবেক্ষক, নাকি এক জনের পরিবর্তে
অন্যজনকে আনা হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি সিইও দফতর। পুলিশ-পর্যবেক্ষকেরা কেন্দ্রীয় বাহিনী, স্পর্শকাতর বুথ, আইনশৃঙ্খলা— সব কিছুতেই নজর রাখেন। অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু জানান, ওখানে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হবে। কত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। শুধু জানান, সব বুথেই সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ— সবই কমিশনের অধীনে কাজ করে।’’