general-election-2019-west-bengal

ইভিএমের পর গণনা ভিভিপ্যাট, ফলপ্রকাশে বিলম্ব এবার

৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে ৭৮ হাজার ৭৯৯টি বুথে ভোট হয়েছে। এ বার প্রতিটি ইভিএম পিছু একটি করে ভিভিপ্যাট ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৯ ২১:৪৪
Share:

কড়া পাহারায় ইভিএম। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের ৪২আসন থেকে শেষ পর্যন্ত কেসংসদে যাচ্ছেন, তা বৃহস্পতিবার ইভিএম খুললেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। এ ছাড়া ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলও এ দিন জানা যাবে। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে গণনার ফল পেতে রাত হয়ে যেতে পারে। এমনকি, পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবারও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দ্রুত ফল ঘোষণা করতে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে ভোট গণনাকেন্দ্রের বাইরে ভিড় বাড়ছে। তাই নিরাপত্তার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, গোটা রাজ্যে ৫৮টি গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের ভিতরের নিরাপত্তা দেখবেন জওয়ানেরা। বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন রাজ্য পুলিশের কর্মীরা।

৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে ৭৮ হাজার ৭৯৯টি বুথে ভোট হয়েছে। এ বার প্রতিটি ইভিএম পিছু একটি করে ভিভিপ্যাট ছিল। নিরপেক্ষতার করণে একটি লোকসভা কেন্দ্রে বিধানসভা পিছু পাঁচটি বুথে ভিভিপ্যাটের স্লিপ গোনা হবে। এই গণনা হবে ইভিএমে ভোটগণনার পর। বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথের ভিভিপ্যাট গণনা শেষ হলে তবেই দ্বিতীয়টি শুরু করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত গণনাকর্মীরা। তার পরে তৃতীয়, চতুর্থ এবং পাঁচ নম্বর বুথের গণনা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দুই ফুলের টক্করে রাজ্যে এগিয়ে কে, জল্পনা তুঙ্গে

পর্যবেক্ষক, প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রিটার্নিং অফিসারকে লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য অতিরিক্ত কয়েক ঘণ্টা লেগে যাবে, তাই ভোটের ফল পেতে কিছুটা দেরি হতে পারে বলে মনে করছে কমিশন।

পর্যবেক্ষক, রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার, প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে স্ট্রং রুম খোলা হবে। তার পর সকাল ৮টায় পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। ইলেকট্রনিকালি ট্রান্সমিটেড পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম (ইটিপিবিএস)-এও গণনা হবে। সার্ভিস ভোটাররা (সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য) এই পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছেন। তার পরই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) গণনা শুরু হবে।

প্রতিটি রাউন্ডের গণনার শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সই করবেন। তার পরের রাউন্ডের ইভিএম গণনাকেন্দ্রে আসবে। এ ভাবেই গণনা চলবে। পর্যবেক্ষকের সইয়ের পরেই তা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট, নিউ সুবিধা অ্যাপ, ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপেও দেখা যাবে।

আরও পড়ুন: ভোটের ফল প্রকাশের পর হিংসা রুখতে রাজ্যে ২০ হাজার আধাসেনা

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

গণনাকেন্দ্রের দরজায় ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর, হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে থাকবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ। গণনাকেন্দ্র এবং স্ট্রং রুমে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পর্যবেক্ষক এবং রিটার্নিং অফিসার ছাড়া কেউ গণনাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যেতে পারবেন না।

রাজ্যে ভোটগণনা এবং বিভিন্ন জায়গায় গোলমালের কথা মাথায় রেখে মোট ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখবে রাজ্য পুলিশ। শুধু কলকাতাতেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে৪ হাজার পুলিশ। শহরে ১৩ জায়গায় ভোটগণনা হবে। ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কলকাতা পুলিশ থাকবে গেটের বাইরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন