ডায়মন্ড হারবারে বামেদের মিছিলে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল, অশান্তি বীরভূমেও

শুধু ডায়মন্ড হারবারই নয়, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ভোটের তিনদিন আগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বীরভূমেও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:৪১
Share:

বামেদের মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত ডায়মন্ড হারবারেসিপিএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম। গুরুদাসনগরের যুবনেতা গৌতম অধিকারীর নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। অনুমতি না নিয়ে বামেরা মিছিল করছিল, প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদের উপর হামলা চালানো হয় বলে পাল্টা অভিযোগ করে তারা।

Advertisement

শনিবার সকালে গুরুদাসনগরে ফুয়াদ হালিমের নেতৃত্বে বামেদের মিছিল বেরিয়েছিল। মিছিল বদরতলা গ্রামে পৌঁছলে উল্টো দিক থেকে আসা গৌতম অধিকারী নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের মিছিলের সঙ্গে তাদের ঝামেলা বাধে। তাতে ফুয়াদ হালিম-সহ বাম কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন মহকুমাশাসক মিঠুনকুমার দে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিগ্রহ বন্ধ হয়নি বলে দাবি অভিযোগ ফুয়াদ হালিমের। তিনি জানান, এসডিপিও-র সামনেই বদরতলা গ্রামে তৃণমূলের লোকজন তাঁদের প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে রাখে। তৃণমূলের ওই মিছিলে অনেকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। অনুমতি না নিয়ে মিছিল করার অভিযোগও উড়িয়ে দেন ফুয়াদ হালিম।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভোটে জিততে বিজেপি এখানে টাকা বিলোচ্ছে: মমতা

অন্য দিকে, বাম সমর্থকরাই তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল। শাসকদলের কথায়, অনুমতি না নিয়ে মিছিল করছিল বামেরা। প্রতিবাদ জানাতে গেলে হামলা চালায়। দলের মহিলা কর্মীদের জামা-কাপড়ও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। বামেদের সঙ্গে সংঘর্ষে গৌতম অধিকারী-সহ দলের অনেক কর্মী আহত হন বলে জানায় তৃণমূল। ফুয়াদ হালিমকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি তোলে তারা।

বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসক দেবময় চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তৃণমূল এবং সিপিএম, দুই দলের তরফেই মিছিলের অনুমতি নিয়েছিল। কিন্তু আগে অবেদন জমা দিয়েছিল তৃণমূল। সকালে তাদের মিছিলের কথা ছিল। দুপুর দুটো থেকে পাঁচটার মধ্যে মিছিল বেরনোর কথা ছিল সিপিএমের। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

ডায়মন্ড হারবারে আক্রান্ত দুই বাম সমর্থক। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

তবে শুধু ডায়মন্ড হারবারই নয়, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ভোটের তিনদিন আগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বীরভূমেও। শুক্রবার প্রথমে সাঁইথিয়ায় দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাতে উভয়পক্ষের পাঁচ কর্মী আহত হন। সাঁইথিয়া জেলা হাসপাতালে তাঁদের চিকিত্সা চলছে। গোলসুন্ডায় তাদের পথসভা চলাকালীন তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিজেপির। তবে নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন বিজেপির লোকজনই তাদের উপর চড়াও হয় বলে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল, যার প্রতিবাদে গতকাল রাতে সাঁইথিয়া থানার বাইরে বিক্ষোভও দেখায় তারা।

আরও পড়ুন: স্টেশনে নয়, মিষ্টি হাতে সিসিটিভি ফুটেজ অন্য কিছুই বলছে অর্ণব রহস্যে​

শনিবার সকালে আবার দুই দলের সঙ্ঘর্ষে তেতে ওঠে ইলামবাজার এলাকা। এ দিন বিজেপির অফিসের সামনে দিয়ে তৃণমূলের একটি মিছিল এগোচ্ছিল। দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির লোকজনদের দেখে মিছিল ছেড়ে ৪০-৫০ জন তাদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি, দলের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। নামে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এলাকায় টহল দিচ্ছে তারা।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন