Cyclone in Bay of Bengal

আরও ঘনাল নিম্নচাপ! ৯ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, সমুদ্রও উত্তাল, কতটা শক্তিশালী হবে ঘূর্ণিঝড়?

শনিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ অঞ্চলটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা থেকে নিম্নচাপ তৈরি হবে। সোমবারের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১০:০০
Share:

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। —ফাইল চিত্র।

বঙ্গোপসাগরে আরও স্পষ্ট হল নিম্নচাপ অঞ্চল। সোমবারই তা থেকে ঘূর্ণিঝড় জন্ম নিতে পারে। এর ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ২৭ অক্টোবরের মধ্যে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের ন’টি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ অঞ্চলটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা থেকে নিম্নচাপ তৈরি হবে। রবিবারের মধ্যে তা আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। সোমবার ওই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে। এর কিছুটা প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূলে।

দক্ষিণবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে সোমবার থেকেই। ওই দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে মঙ্গলবার। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শুক্রবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি চলতে পারে শহরে।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে মঙ্গলবার থেকে। বুধবার ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে। পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ভারী বৃষ্টি হবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার। দুই ২৪ পরগনাতেও শুক্রবার পর্যন্ত দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি হবে। জলপাইগুড়িতে বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে ভারী বৃষ্টি হবে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার।

নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্রে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। ২৭ তারিখ থেকে তার বেগ বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর সমুদ্রে হাওয়ার গতি পৌঁছোতে পারে সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্রের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে হাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর তার গতিবিধি কেমন হয়, কোন দিকে এগোয় এবং কতটা শক্তিশালী হতে পারে, সে বিষয়ে আরও নিশ্চিত পূর্বাভাস দেওয়া যাবে।

শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৫ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি বেশি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement