রাতভর তাণ্ডব বর্ধমানে, আক্রান্ত সিপিএম নেতা মদন ঘোষের বাড়িও

রাতভর রাজনৈতিক হিংসার শিকার বর্ধমান শহর। এ বার আক্রান্ত সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মদন ঘোষের বাড়িও। রাতভর তাণ্ডব চলল আরও অনেক বাম নেতা-কর্মীর বাড়িতে। অভিযোগের তির সেই তৃণমূলের দিকেই। যথারীতি আবার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৬ ১৭:০০
Share:

রাতভর রাজনৈতিক হিংসার শিকার বর্ধমান শহর। এ বার আক্রান্ত সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মদন ঘোষের বাড়িও। রাতভর তাণ্ডব চলল আরও অনেক বাম নেতা-কর্মীর বাড়িতে। অভিযোগের তির সেই তৃণমূলের দিকেই। যথারীতি আবার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধেও।

Advertisement

রাত সাড়ে ১১টার পর মদন ঘোষের বাড়িতে হামলা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্ধমান শহরের ভাতছালা এলাকার ওই বাড়িতে মদনবাবু নিজে অবশ্য রবিবার রাতে ছিলেন না। দলীয় কাজের সূত্রে কলকাতায় ছিলেন। মদনবাবু জানিয়েছেন, বিজয় মিছিল সেরে ফেরার পথে প্রায় ৫০-৬০ জন তৃণমূল কর্মী তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে তাণ্ডব শুরু করে। বাঁশ, লাঠি নিয়ে গেট ভাঙার চেষ্টা হয়। ভাঙতে না পেরে ইট-পাটকেল ছুড়ে ভেঙে দেওয়া হয় জানালার কাচ। সঙ্গে চলে অশ্রাব্য গালিগালাজ।

শুধুমাত্র মদন ঘোষের বাড়িতে অবশ্য নয়, ১৯ মে রাত থেকে শুরু হওয়া তাণ্ডবলীলায় কোনও ছেদ না ফেলে রবিবার রাতে বর্ধমান শহরের নীলপুর, বাবুরবাগ, দুবরাজদিঘি-সহ অনেকগুলি জায়গায় তৃণমূল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সিপিএম নেতা দিলীপ দুবে, উৎপল চক্রবর্তী, জনার্দন রায় ও তপন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ভাঙচুর করে আগুন লাগানো হয়েছে আরও অনেক সিপিএম কর্মীর বাড়িতে। এক রাতেই শহরের প্রায় ২৫টি বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিপিএমের তরফে অভিযোগ, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে রোজ রাতে পাড়ায় পাড়ায় আলো নিভিয়ে দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল। দিনের বেলা পুলিশ পিকেট থাকলেও রাতে তা তুলে নেওয়া হচ্ছে এবং তার পরই হামলা হচ্ছে বলে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের দাবি।

Advertisement

আরও পড়ুন:

আক্রান্তের সাহায্যে গিয়ে আক্রান্ত রূপা

তৃণমূলের তরফে অবশ্য সব অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে। তাদের দাবি, বর্ধমানে কোথাও কোনও অশান্তি নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন