ফের জেলেই যেতে হচ্ছে মদন মিত্রকে। আলিপুর আদালতের দেওয়া জামিনের নির্দেশ বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জেলের বদলে হাসপাতালে পাঠানোর শেষ আর্জিতেও আমল দিলেন না দুই বিচারপতি। অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করতে হবে আলিপুর আদালতে গিয়ে। জানিয়ে দিল বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তাপস মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। অবশেষে বিকেলে রায়ের প্রতিলিপি পাওয়ার আগেই আত্মসমর্পণের জন্য মদনবাবু পৌঁছে গেলেন আলিপুর আদালতে।
বুধবার দিনভর শুনানি সত্ত্বেও শেষ হয়নি জামিন খারিজ মামলার সওয়াল-জবাব। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় শুনানি। তবে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির কিছু আগেই শুনানি শেষ হয়। বিচারপতিরা জানান, বিরতির পর রায় ঘোষণা করা হবে। আদালত সূত্রের খবর, বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তাপস মুখোপাধ্যায় নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্তে পৌঁছন। শুনানি শেষ হওয়ার ঘণ্টাদু’য়েক পর রায় ঘোষণা করে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিবিআই-এর আবেদনই মেনে নেওয়া হচ্ছে। মদন মিত্র জামিন পাচ্ছেন না। তাঁকে আলিপুরের এসিজেএম আদালতে গিয়ে সিবিআই-এর কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পর আত্মসমর্পণের জন্য ৭ দিন সময় চান মদনের আইনজীবীরা। আদালত সেই আবেদনও গ্রাহ্য করেনি। রায়ের প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আত্মসমর্পণ করতে হবে মদন মিত্রকে। জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট। মদন শিবিরের তরফে শেষ আবেদন ছিল, জেলে না পাঠিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হোক সদ্যপ্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রীকে। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়।
পড়ুন: যে পথে খারিজ মদনের জামিন
সব আবেদন খারিজ হওয়ার পর রায়ের প্রতিলিপির জন্য আর অপেক্ষা করেননি মদনবাবু। তিনি সরাসরি আলিপুর এসিজেএম আদালতে হাজির হয়ে যান। আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গি ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা এ দিন দেখা গিয়েছে মদনবাবুর মধ্যে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ দিন কিছুটা নির্লিপ্ত হাবভাব দেখানোর চেষ্টা করেন মদনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমি কোর্টের কোনও অর্ডার পাইনি। আমার উকিলও পাননি। তা সত্ত্বেও আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছি। কোর্টের কোনও নির্দেশ আমি অমান্য করব না।’’ মদন মিত্র জানান, তিনি টিভি দেখে জানতে পেরেছেন তাঁর জামিন বাতিল হয়েছে। তবে হাইকোর্টের এই রায় সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে তিনি অস্বীকার করেন।