—প্রতীকী চিত্র।
চাওয়া হয়েছিল এক হাজার টাকা। কিন্তু গাড়িচালক দিতে চেয়েছিলেন ৫০০ টাকা। দাবিমতো টাকা না-দেওয়ায় ওই গাড়িচালককে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তিন সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগ ওঠার পরেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় কর্মরত ওই তিন সিভিককে ক্লোজ় করলেন জেলা পুলিশ সুপার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেলাবাড়ি নাকা পয়েন্টে ডিউটি করছিলেন ওই তিন সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই সময়ে ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আলি। নাকা পয়েন্টে তাঁর গাড়ি আটকান অভিযুক্ত তিন সিভিক। অভিযোগ, তাঁরা রুহুলের কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু রুহুল ৫০০ টাকা দিতে চাইলে তাঁরা সেই টাকা নিতে অস্বীকার করেন। এর পরেই চালককে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে পাশের একটি ঘরে নিয়ে তাঁকে মারধর করেন তিন সিভিক ভলান্টিয়ার।
রুহুল জানান, মারধরের কারণে তাঁর হাতে চোট লেগেছে। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। তার পরেই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ওঠার পরেই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসির কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলেন তিনি। পরে পুলিশ সুপার একটি বিবৃতিতে জানান, গাড়িটি দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল দেখেই সেটিকে দাঁড় করিয়েছিলেন তিন সিভিক ভলান্টিয়ার। এর পরেই ওই তিন জনের সঙ্গে গাড়িচালকের বচসা হয়। হয় হাতাহাতিও। প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তিন জনকে ক্লোজ় করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। তদন্তের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।