TMCP Leader Arrested

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতে আগুন লাগানোর অভিযোগ! মালদহে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিষ্কৃত সেই নেতা গ্রেফতার

সোমবার অভিযুক্ত ওই ছাত্রনেতাকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। একই সঙ্গে মালদহের কলেজ ছাত্র পরিষদের ইউনিট ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন দলীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৪৮
Share:

মালদহে গ্রেফতার তৃণমূল ছাত্রপরিষদের অভিযুক্ত নেতা। প্রতীকী ছবি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতে আগুন লাগানোর ঘটনায় মালদহে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিষ্কৃত সেই নেতা নাসিমুল হক ওরফে এবি সোয়েলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার স্থানীয় এক ব্যক্তি চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোয়েলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রনেতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ানো-সহ বেশ কিছু বেআইনি কাজে যুক্ত ছিলেন। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। মালদহ জেলা পুলিশের তরফে এক্স করে ওই ছাত্রনেতার গ্রেফতারির কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এই ঘটনা নিয়ে গত দু’দিন ধরেই রাজ্যের রাজনীতি সরগরম। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছিল মালদহের চাঁচলে। সেই প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। সেই কর্মসূচিতে পোড়ানো হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবি। সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দিয়েছিল সেনা। সেই ঘটনার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে নেমেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। চাঁচল কলেজের সামনে বাংলার মনীষীদের ছবি হাতে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সংগঠনের সদস্যেরা। তার মাঝেই মোদী-শাহের ছবি পোড়াতে গিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পুড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। যদিও বিষয়টি নজরে আসতেই আগুন নিবিয়ে দেন তাঁরা।

Advertisement

কিন্তু বিতর্ক সেখানেই থেমে থাকেনি। বরং বেড়েছে। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করে। বিরোধী দল বিজেপিও আক্রমণে নামে। অবশেষে সোমবার অভিযুক্ত ওই ছাত্রনেতাকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। একইসঙ্গে মালদহের কলেজ ছাত্র পরিষদের ইউনিট ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন দলীয় নেতৃত্ব। অভিযুক্ত ছাত্রনেতা বহিষ্কারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে।

সোমবার অভিযুক্ত ছাত্রনেতা বহিষ্কার হওয়ার পর ছাত্র পরিষদের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়, ‘‘আমরা সর্বদা দেশের মহামনীষী, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল। সংগঠনের নীতি ও মূল্যবোধের পরিপন্থী কোনও কাজকে কখনওই বরদাস্ত করা হবে না। পাশাপাশি বাংলার স্বার্থবিরোধী ও বিজেপির বিদ্বেষমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement